Logo
HEL [tta_listen_btn]

ঢাকাকে হেসেখেলে হারিয়ে শুভসূচনা রাজশাহীর

শুরুটা করেছিলেন লিটন দাস। ঝড় তুলে ফেরেন তিনি। পরে রূদ্রমূর্তি ধারণ করলেন হযরতউল্লাহ জাজাই। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন শোয়েব মালিক। তাতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেসেখেলে হারাল রাজশাহী রয়্যালস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসরে শুভসূচনা করল তারা।

ঢাকা প্লাটুনের দেয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুভসূচনা করে রাজশাহী রয়্যালস। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৬২ রান এনে দেন তারা।

এসময়ে শান্ত ছিলেন জাজাই। তবে আক্রমণাত্মক ছিলেন লিটন। ক্রিজে নেমেই ঝড় তুলেন তিনি। একপর্যায়ে তার তাণ্ডব থামান মেহেদী হাসান। ফেরার আগে ২৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন ডানহাতি ওপেনার।

পরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জাজাই। ঢাকা প্লাটুন বোলারদের ওপর রীতিমতো তোপ দাগান তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক। তাতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় রাজশাহী।

পথিমধ্যে এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন জাজাই। সেই রাস্তায় হাঁটেন শোয়েব। যদিও সময় স্বল্পতার কারণে পারেননি তিনি। ৩৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় কাঁটায় ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি ব্যাটার।

অপর প্রান্তে

বৃহস্পতিবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে মাশরাফি বিন মুর্তজার ঢাকা। এ ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরেন মাশরাফি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে আর মাঠে দেখা যায়নি।

একই সঙ্গে ম্যাচটি দিয়ে খেলায় ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। গেল কয়েকটি সিরিজে ব্যক্তিগত কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে প্রত্যাবর্তনটা ভালো হয়নি ড্যাশিং ওপেনারের। মাত্র ৫ রান করে আবু জায়েদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সফরেও ব্যর্থ ছিলেন দেশসেরা ওপেনার।

পরে লরি ইভান্সকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন এনামুল হক। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎ থেমে যান ইভান্স। ফরহাদ রেজাকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। তবে রানের চাকা স্লো হয়নি ঢাকার। জাকের আলিকে নিয়ে এগিয়ে যান এনামুল। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। কিন্তু ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন জাকের। ফেরার আগে ২১ রান করেন তিনি।

তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় ঢাকা। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এনামুল। অলক কাপালির স্পিন ভেলকির ফাদেঁ পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ডানহাতি ওপেনার।

সেই রেশ না কাটতেই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন বুমবুম শহীদ আফ্রিদি। রবি বোপারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ৫ রানেরমধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় ঢাকা।

এই পরিস্থিতিতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট আরিফুল হক। তিনিও হন রানআউট। কিছুক্ষণ পর একই দশা হয় মেহেদী হাসানের। তারপর ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে সম্মানজনক স্কোর গড়েন মাশরাফি।

ইনিংস শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে ফেরেন ওয়াহাব। তবে ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাশ। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আবু জায়েদ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com