দেশে পুরনো গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এছাড়া শুল্কের পরিমাণ কমাতে নীতি সহায়তা চেয়েছে সংগঠনটি। রাজধানীর বিজয়নগরে নজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে রাখেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হক। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি এসএম আনোয়ার সাদাত ও জসিম উদ্দিন মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
বারভিডার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়, যেখানে গত অর্থবছরে তা প্রায় অর্ধেক কমে ১২ হাজার ৫০২টি হয়েছে। বারভিডা সভাপতি বলেন, এর ফলে একবছরের ব্যবধানে পুরনো গাড়ি থেকে শুল্ক বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। উদাহরণ দিয়ে আবদুল হক বলেন, ইয়েলো বুকে উদ্ধৃত মূল্য (বাজার মূল্য) অনুযায়ী ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিতে হয়। অথচ একই মডেলের নতুন গাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ একটি পুরনো গাড়ির দাম নতুনের চেয়ে ১৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা বেশি পড়ছে। এক্ষেত্রে সরকারও ওই একটি গাড়ি থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে শুল্কবৈষম্য দূর করলে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ইয়েলো বুকে যে দাম উল্লেখ থাকে, সেই দাম থেকে অবচয় সুবিধা হিসেবে ৩৫ শতাংশ বাদ দিয়ে যে মূল্য হয় তার ওপর এখন শুল্ক ধরা হচ্ছে, যেটা দুবছর আগে ৪৫ শতাংশ ছিল। তিনি বলেন, আমদানিতে নীতি বৈষম্যের পাশাপাশি সরকার পুরনো গাড়ির অবচয় সুবিধা কমানোর পর একই হারে শুল্ক আরোপ করায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ী বিক্রির পতন ঘটেছে। এর ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আর ব্যবসায়ীরা পড়েছেন আর্থিক ক্ষতির মুখে। পুরনো গাড়ির বাজার মূল্য থেকে রপ্তানিকারক দেশের আরোপিত ১০% ভাগ কর ও পরিবেশকের ৩০% কমিশন বাদ দিয়ে শুল্কমূল্য নির্ধারণ করা এবং অবচয় সুবিধা ৩৫% থেকে বাড়িয়ে ৪৫% করার প্রস্তাব করেন তিনি। অপর দিকে নতুন গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে তার উপর নির্ধারিত হারে শুল্ক ও আরোপ করার প্রস্তাব করেন পুরনো গাড়ির এই ব্যবসায়ী।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।