Logo
HEL [tta_listen_btn]

সারাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে । নেত্রকোনা: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী, সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিনসহ সকল স্থরের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। এর আগে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নোয়াখালী :  নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। নোবিপ্রবিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।  শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম সকলের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এসময় নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক, নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতি (নীল দল) শহিদ মিনারে ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নোবিপ্রবি’র স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বিভিন্ন হল ও সংগঠনসমূহ এর পক্ষ হতে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর রাতে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ, নিষ্প্রদীপ মহড়া ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল: বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ৯টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৯টায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি (মন্ত্রী মর্যদা) নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।  এর পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে মহানগর সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এর আগে সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। সকাল ৭টায় প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। পরে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার অসম্পন্ন অংশটুকু বাস্তবায়িত হবে এটাই তাদের প্রত্যাশা। মহানগর বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র আজ উপেক্ষিত। ব্যক্তির স্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায় বিচার, বৈষমহীন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণই ছিলো মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান ও উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল। সভায় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। কুমিল্লা : কুমিল্লায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ ডিসি সামছুল হক খান স্মৃতি ভাস্কর্য এবং শহীদ পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ স্মৃতি ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানান। বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে শোক ও শ্রদ্ধায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। শহীদ মিনারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা পরিষদ, বিভিন্ন আবাসিক হল, বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধ চেতনামঞ্চে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাষ্কর্য্যে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শরণার্থী পুণর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শনিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা কালেক্টরেট ভবনের সামনে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সফিউজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল কবির প্রমূখ। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাঙামাটি : বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ আব্দুল আলী মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল পিন্টু উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তরা বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেন। কিন্তু শত্রুরা বাংলাদেশের স্বাধিনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। বাঙালি বীরদের কাছে পরাজীত হয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা। বাংলার লাল-সবুজের পতাকা সেদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। এখনো আছে।  মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে নানা আয়োজনে শহীদ বুদ্বিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে জেলার মুক্তিযোদ্বা সংগঠন,আওয়ামী লীগ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্বা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, স্বাধীণতা বিরোধী যুদ্বাপরাধীরা এখনো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।  রাজশাহী : যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ, সাংবাদিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ছাত্র-শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। শনিবার দিবসের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাবি শাখা ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদক করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রভাত ফেরি এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তব অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দিবসটি উদযাপণের জন্য বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়। কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিতবিশ্ববিদ্যালয় : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। কালো পতাকা উত্তোলন করেন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন। পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান-এর নেতৃত্বে এক শোকর‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ‘চির উন্নত মম শির’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানগণ, ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন।  পরে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী, দেশপ্রেমিক, ন্যায়পরায়ণ, কুসংস্কারমুক্ত সচেতন নাগরিক। ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তার অনুমান তারা আগে থেকেই করতে পারতেন। বুদ্ধিজীবীরা যেহেতু কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, তাই শাসক বা সরকার তাদের অপকর্ম নির্বিঘ্নে করতে প্রথমে বুদ্ধিজীবীদের মন রক্ষা করার চেষ্টা করে, লোভ দেখায়, না পারলে অবশেষে মেরে ফেলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুদ্ধিজীবীদের উপর নির্যাতন ও হত্যা করার ঘটনা অনেক রয়েছে।’ সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নয়নে বুদ্ধিজীবীদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘আপনারা দেশের সূর্য সন্তান, আপনারাই দেশের নেতৃত্ব দেবেন, বুদ্ধিজীবীদের সম্মান করুন, আপনারাও বুদ্ধিজীবী হোন।’ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা, শহীদ বুদ্ধিজীবী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে সভাপতি তার বক্তব্য শেষ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে এবং কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিন। এছাড়া আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল আমিন, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আহসানউল্লাহ রাসেল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান রাকিব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. সুজন আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। আলোচনায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কে এম মাহমুদুল হক। এদিকে, কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা: ভোরে দিবসটিতে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়সার পৃথক ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. নিত্যনন্দ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস প্রমুখ। এছাড়াও ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানায়। পাশাপাশি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করা হয়। এছাড়াও ভোলা শিশু একাডেমিতে শিশুদের আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ: সকালে দিবসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: বাংলানিউজপরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংগঠন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিস্তম্ভে প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পরে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পুলিশের একটি চৌকস দল শহীদদের উদ্দেশ্যে সালাম প্রদর্শন করে ও বিউগলের করুন সুর বাজানো হয়। পরে বিশেষ দোয়া মাহফিল করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রমুখ। সুনামগঞ্জ: সকালে দিবসটিতে সুনামগঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিবীজীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তারা, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুলে দিয়ে শহীদ বুদ্ধিবীজীদের শ্রদ্ধা জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হয়। জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী নূরুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন পীর প্রমুখ।  শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মেহেরপুরে আলচনা সভা। পরে জেলার বিভিন্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ ও মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপহার সামগ্রী দিয়ে সম্মানিত করা হয়। বাগেরহাট: সকালে দিবসটিতে বাগেরহাট শহরের ডাকবাংলো ঘাটে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন, জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দীন হায়দার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ তানজিল্লুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বগুড়া, পটুয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুরে দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com