বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করা হলেও বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্রহীন। দেশের মানুষের ভোটাধিকার নেই, যা দুর্ভাগ্যের।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার ভোরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৪৯ বছর আগে আজকের এই দিনে আমরা দীর্ঘ ৯ মাস একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছিলাম। …কিন্ত দুর্ভাগ্যের কথা, আজকে ৪৯ বছর পরে এ দেশ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সহধর্মিণী (খালেদা জিয়া) সে সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম, তাকে আজকে অন্ধকার কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়ার আন্দোলন-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন আপসহীনভাবে। তিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন জনগণের ভোটে। আজকে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্মমভাবে, অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে আজকের এই দিনে আমরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড লাভ করেছিলাম। স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, আজকে ৪৯ বছর পরে এ দেশ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে। এ দেশে আজকে মানুষের কোনো অধিকার নাই, ভোটের অধিকার নেই। সব গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো সব হরণ করে নেয়া হয়েছে।
জনগণকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকের এই দিনে যে চেতনার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সে চেতনার ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।