Logo
HEL [tta_listen_btn]

ভান্ডারিয়ায় পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি

পিরোজপুর থেকে ফিরে সুলাইমান হাসান ঃ

ভান্ডারিয়ায় পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি : পিরোজপুর ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি। দিন দিন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহে ঝুঁকি যেন বেড়েই চলছে। সমাজে এক ধরনের মূখশধারী লোক রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেই । সেই সকল লোকের কাছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই তারই পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায় সাংবাদিক হামলা-মামলা কিংবা হয়রানির স্বীকার হতে হয়। গত (১৬/৩/২০.) রাত ৯ ঘটিকার সময় মিথ্যা মামলা নং ১২, ধারা মতে ৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড বলপূর্বক অর্থ দাবি উল্লেখ করে চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ড করেন ওসি। জানাগেছে, অহেতুক সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ ডালিমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন থানার (ওসি) এস.এম মাকসুদুর রহমান। সূত্র ছিলো সীমা রানীর স্বামী সুভাস তাদের সাথে নিজেস্ব প্রতিষ্ঠান নিয়ে দ্বন্দ। এমন ঘটনার সূত্রধরে জানাযায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করাতে, এমন খবর পয়ে স্বার্থ হাঁসিলের জন্য পুলিশ। সীমা রানি গোলদার(৪৫) স্বামী সুভাস চন্দ্র হালদারকে বাদী বানিয়ে। মোটা অংকের উৎকোচ বাণিজ্য করেন ওসি। সংশ্লিষ্টদের মতে জানাগেছে, সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ ডালিম পিতা আব্দুস ছালাম তার বাবা । ১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারীবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে, ব্যাপক আকাঁরে পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস্ ছালাম মিয়া। ইতিপূর্বে তিনি শাররিক ভাবে ভালো না থাকার কারণে আব্দুস ছালাম নিজে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে সুভাস চন্দ্র হালদারকে স্কুলের অ-সম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার লক্ষে স্কুলের মূল কাগজ পত্রাদি গুলো বুঝিয়ে দেন। এমতাবস্থায় ১/১/২০১৪ সালে স্কুল জাতীয়করন হলে স্কুলের কাগজ পত্রাদি আর বুঝিয়ে দেননা বলে অনেক তালবাহানা করেন সুভাস। এ বিষয়ে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ ডালিম জানান, আমার বাবা আব্দুস্ ছালাম মিয়া অনেক ধার্মীক ও সমাজ প্রিয় মানুষ। বাবা মানুষের সেবা বা কল্যাণে সর্ব সময়ে নিয়োজিত থাকেন। তিনি মানুষকে বেশি ভালো বাসেন, সে ভালোবাসার পরিনাম ফল-বাবাকে উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাবার স্কুল করার পিছনে শত পরিশ্রম এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবা অসম্পূর্ণ কাজ গুলো, সম্পূর্ণ করার লক্ষে সুভাসকে কাগজ বুঝিয়ে দিলে । এক পর্যায় স্কুল জাতীয়করন হলে, স্কুলের কাগজ বুঝিয়ে দিতে নানা প্রকার তালবাহানা শুরু করে যাচ্ছেন। তাই কাগজ বুঝিয়ে দিতে সক্ষাম না হলে, আমাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহ জাগে। তাই আমরা বিষয়টি সরকারী দপ্তরে ক্ষতিয়ে দেখলে, সেখানে সরকারী কর্মচারীরাও আতঙ্ক শুরু করেন। এক পর্যায় সম্পূর্ণ বিষয় ক্ষতিয়ে দেখার পর, সরকারী কর্মচারীদেরও দুর্নীতির মূখশ চিত্র ফাঁস হয়ে গেলো। কারণ সুভাস আমার বাবার স্বাক্ষর জ্বালিয়াতি করে, যত প্রকার সরকারী বরাদ্ধ ছিলো, সকল অর্থ সরকারী দপ্তরের কর্মচারীদের ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে। তিনি নিজে সকল অর্থ আত্মসাত করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এমন কি বিষয়ে ভান্ডারিয়ার থানার শিক্ষা অফিসার পরিদর্শন করে দেখেন। স্কুলে কোন ছাত্র-ছাত্রীও নেই। কাগজে-কলমে দেখিয়েছে ২০০/২৫০ শিক্ষার্থী কিন্তু আসলে কোন শিক্ষার্থী নেই। এমকি আমাদের স্কুলের নামে যে ভূমির দলিল পত্র জমা দেওয়া ছিলো, তা সুভাস বাতিল করে, ভুয়া ভূমির দলিল বানিয়ে প্রদান করেন তিনি। এমন ধরনের সত্যতা খুঁজে বেড় করি আমি। যার কারণে তার সু² জ্বালিয়াতি প্রমান হওয়াতে, বাবাকে বললাম, বাবা আর আমাদের স্কুল প্রয়োজন নেই বরং জ্বালিয়াতিবাজদের কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যার কারণে আমি নিজে বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার বিজ্ঞ আদালতে স্পেশাল পিটিশন মামলা দায়ের করি। কেইস নং ২/২০২০ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২)৫(৩)সহ ১৬২/১৬৩/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ দন্ডবিধি ধারা মতে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস্ ছালাম জানান, আমার নিজের ক্রয় করা সম্পত্তিতে, আমি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করি। তাই আমি শাররিক ভাবে ভালো না থাকার কারণে। আমার বিশ্বাস সূত্রে অসম্পূর্ণ কাজ-সম্পূর্ণ করার লক্ষে সুভাসকে কাগজ বুঝিয়ে দেই। তিনি স্কুল জাতীয়করন হতে না হতেই, আমাকে কোন কাজে রাখেন না। এবং আমার কাগজ পত্রাদি বুঝিয়ে দিতে বললেও, তিনি নানা ভাবে তালবাহানা করেন। সুতরাং অবশেষে আমরা জানতে পারলাম স্কুলে সকল প্রকার সরকারী বরাদ্ধ আমার অগচরে আমার নিজ স্বাক্ষর জ্বালিয়াতি করেন তিনি। এধরনের অভিযুক্ত জ্বালিয়াতি চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিযোগ্য করতে হবে। এবং সে ক্ষেত্রে আমিও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, আদালতের বিজ্ঞ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে, সুষ্ঠ আইনী ব্যাবস্থার দাবি জানান স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুস্ ছালাম মিয়া। ভান্ডারিয়া থানার ওসি বলেন, আমার কিছু করার নেই। তবে পরবর্তীতে কিছু না হয়। সে বিষয়ে আমি সাংবাদিককে দেখবো। এমন ধরনের কথাবার্তা বলেন তিনি। থানার শিক্ষা অফিসার বলেন, আমি ১৬৫নং দক্ষিণ পূর্ব পশারীবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। যার সম্পূর্ণ সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কথা বলে। সাতজন বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com