Logo
HEL [tta_listen_btn]

লালমোহনে নির্যাতন ও হয়রানীর প্রতিবাদে ভূক্তভোগী তানজিলার

IBRAHIM AKASH [email protected]

AttachmentsSun, 22 Mar, 21:21 (19 hours ago)
to me, dailytimesbangla, dailykhaboreralo, agamirshomoy.news, bangladesheralo2018, pdsangbad24
লালমোহনে নির্যাতন ও হয়রানীর প্রতিবাদে ভূক্তভোগী তানজিলার
 মোঃ ইব্রাহিম আকাশ ,লালমোহন ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে কথিত পুলিশ সদস্য রাজিব কর্তৃক নির্যাতন ও হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহবধু তানজিলা। ২২ মার্চ সন্ধ্যায় লালমোহন প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড হাজিরহাট নিবাসী হারুনুর রশিদের কন্যা মোসাঃ তানজিলা লিখিত বক্তব্যে এ সময় সাংবাদিকদের জানান-গত ১৪ জুন ২০১৮ইং সালে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন লর্ডহাডিঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড সৈয়দাবাদ গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে মোঃ রাজিবের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিবাহ হয়।
বিবাহের সময় রাজিব নিজেকে পুলিশের দারোগা হিসাবে পরিচয় দেয়। বিবাহের সময় আমার পরিবার রাজিবকে ১ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও ১ টি আংটি দেয়। বিবাহের কিছুদিন পর পুলিশ হেড কোয়াটারে রুম বরাদ্ধ পাবে এবং সেখানে টাকা লাগবে বলে আমার পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে। আমার সুখের কথা চিন্তা করে আমার পরিবার রাজিবের হাতে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন। পুলিশ কোয়ার্টার রুম সে বরাদ্ধ পায় এবং আমাকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে আমি গিয়ে জানতে পারি রাজিব পুলিশের দারোগা নন, সে পুলিশের বাবুর্চি। তার এমন প্রতারনার পরও সবকিছু মেনে নিয়ে তার সাথে সংসার করি। কিন্তু এবার ওই রুমের আসবাবপত্র লাগবে বলে আবার আমার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে রাজিব। টাকা দিতে না পারায় আমার উপর শুরু হয় তার অমানবিক অত্যাচার। এর আগেও যে কোন প্রয়াজনে আমার পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করত সে। টাকা দিতে না পারলে আমার উপর অত্যাচার করত। যা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর পরই তা পূরণে ব্যর্থ হলেই অত্যাচার নেমে আসে। টাকা লাগবে বলে আমাকে জোরপূর্বক আমার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমার পরিবার কোনো টাকা দিতে না পারায় আমাদের বাড়ীতে এসে আমাকে মারধর করে এবং বলে টাকা না নিয়ে তুই আমার বাড়ীতে আসতে পারবি না। রাজিবের সকল অন্যায় আচরণের সাথে তার পরিবারও সায় দেয়। আমার পরিবার কোন টাকা দিতে না পারায় আমাকে বাবার বাড়ী ফেলে রেখে কোন খরচাদি না দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে গত ১১ জুলাই ২০১৯ সালে তার মা জাহানারা ও ভাই জিয়াকে আসামি করে ভোলা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব বলে- মামলা দিয়ে তুই কিছুই করতে পারবি না। আমার ওই মামলা থেকে গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে রাজিব তার পরিবার জামিন পায়


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com