ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় স্থানীয় সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদে নির্যাতনকারী সেই নাবিল হায়দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকার তার নিজ বাড়ির থেকে তাকে গ্রেফতার করা বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল) মো. রাসেলুর রহমান।
গ্রেফতারকৃত নাবিল হায়দার ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ছেলে।
আহত সাগর চৌধুরী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের অনিয়ম ও রাতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল সরিয়ে নেয়া ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সাংবাদিক সাগর চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীকে জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ছোটে ছেলে নাবিল সাগর চৌধুরীকে মঙ্গলবার সকালে ফোন করে জরুরি কথা আছে বলে বোরহানউদ্দিনের রাজমণি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। সাগর সেখানে আসলেই নাবিল তাকে মারধর করে এবং বলে সাগর তার মোবাইল চুরির করার চেষ্টা করছে। আর এ মারধরে ভিডিও নাবিল তার নিজ ফেসবুকে লাইভ করেন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাগরকে উদ্ধার করা হয়। পরে সাগরের পরিবারের সহযোগিতায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান ও অজ্ঞাত আরও ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সাগর চৌধুরী।
বোরহানউদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী জানান, গত কয়েকদিন আগে আমাকে সাগর চৌধুরী ফোন করে বড় মানিকা ইউনিয়নের চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি ওই চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি। তখন চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন সাগর চৌধুরী দুইজন লোককে চাল বেশি পাইয়ে দিবে বলে তাদের কাছ থেকে চাল কম দেয়া হচ্ছে এমন একটি ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, সাংবাদিক সাগর চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে বোরহানউদ্দিন থানায় নাবিলকে প্রধান ও আরও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে নাবিলকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে