সোলায়মান হাসান: নারায়ণঞ্জে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে করোনা ভাইরাস। কোভিড-১৯ এর আগ্রাসনে ভীত ও সন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। নারায়ণগঞ্জে করোনায় চিকিৎসক, সাংবাদিক, নার্স, মেকিকেল কর্মী, শ্রমিক, বৃদ্ধা, শিশুসহ সকল বয়সের লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। লকডাউনের পর মানুষের চলাচল অনেকটা সীমিত হয়ে গেছে। তারপরেও প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জকে কখনো হটস্পট কখনো ক্লাস্টার এরিয়া আবার কখনো কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের আখড়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। একদিকে করোনার আক্রমনে প্রতিদিনই যাচ্ছে প্রাণ।
১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে প্রাণহানি হয়েছে নারায়ণগঞ্জে মোট ১৪ জনের। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ভাঙছে আগেরদিনকার। ১৫ এপ্রিল একদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জে সর্বোচ্চ ৫০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪ তে।
এরআগের দিন ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় নতুন ২০ জনসহ করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট ১৬৪ জন। ১৩ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ জন। এরআগের দিন ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নারায়ণগঞ্জ জেলায় নতুন ২৪ জনসহ করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন মোট ১০৭ জন। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ৮ জনসহ আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ৮৩ জন। ।
১০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ১৬জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ১৩জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৯ জনে। ৮ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ৮জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ জনে। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ২৭ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮ জনে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন ৫ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জনে। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ জনে।
গত ৮ মার্চ সারাদেশে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, এরমধ্যে ২ জন ছিলো নারায়ণগঞ্জের। এরপর ২২ দিন করোনা নারায়ণগঞ্জে কিভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে ঢুকে পড়েছে সেটি বলা খুবই দুষ্কর
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।