মোঃ মোশফিকুর ইসলাম (চিলাহাটি-নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ১নংভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি মাস্টার পাড়া গ্রামের প্রধান রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও পাকা না হওয়ায় রাস্তাটি অচল হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো নজর নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,চিলাহাটি মাস্টারপাড়া থেকে চিলাহাটি বটতলী প্রায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার রাস্তাটি এখনো পাকা করনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না ।রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার ও পাকা করণের অভাবে বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার সাথে পুকুর থাকার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। আবার সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানি অতিক্রম করে গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে হয়। ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষ জন । একটি মাত্রই পথ এই পথ দিয়ে যেতে হয় কলেজ, স্কুল ,মাদ্রাসা, মেডিকেল , ইত্যাদি জায়গায়। রাস্তাটির সাথে একটি মাদ্রাসা , ভোট কেন্দ্র, রাস্তাটির বেহাল দশা পেরিয়ে সকল গ্রামের মানুষ এই ভোটকেন্দ্রে আসে ভোট দেওয়ার জন্য। এবং পাশে জামে মসজিদ ,চিলাহাটি বাজার যাতায়াতের একমাত্র পথ। তাছাড়া ও জনবহুল ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষ, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত, কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং রোগীদের যাতায়াতে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে এ রাস্তা। রাস্তার উভয় পাশে অন্তত ৫টি পুকুর থাকায় বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙে পড়ছে এবং রাস্তা সরু হয়ে গেছে তেমনি রাস্তাটির অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রো, অটোরিকশা, ভটভটি, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তা কবে সংস্কার ও পাকা করণের ব্যবস্থা গ্রহণ হবে এ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই যেন এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করণের কাজ শুরু করা হয়। রাস্তাটি পাকা করণ কারা হলে, হাজার হাজার মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর হবে। এ প্রসঙ্গে ১ নং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, চিলাহাটি মাস্টারপাড়া থেকে চিলাহাটি বটতলী প্রায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার রাস্তাটির কথা অনেক বার বলছি এমপি মহদোয়কে পাকা করনের জন্য ।আর এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এমপির কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান চেয়ারম্যান। ৪০ দিনের কর্মসূচি এলেও পরে না এক টুকড়ি বালু মাটি প্রধান সড়কটিতে। সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের খবর নেওয়ার কেউ নেই। ভোট এলে দেখা মিলে । ভোট শেষ হলে দেখাও মিলে না ইউপি সদস্যদের। সাধারণ মানুষের একটাই দাবি অচিরেই যেন এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করণের কাজ শুরু করা হয় যেনো ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।