Logo
HEL [tta_listen_btn]

বগুড়ার বাজার মাঠ ঘুরে ‘এখন সাতমাথায়

বগুড়ার বাজার মাঠ ঘুরে ‘এখন সাতমাথায়

এনামুল হক রাঙ্গা(বগুড়া):- স্বামী পুলিশে চাকরির সুবাদে থাকেন রাজশাহী জেলায়। ২০দিন পর ঘর থেকে বেড়িয়ে আজকেই কিছু কাঁচাবাজার কিনলাম। সাথে ওষুধ নিলাম। নিজে সচেতন থাকলে পরিবার সুরক্ষিত থাকবেন। কথা গুলো বলেন নারুলী এলাকায় বসবাসরত জেসমিন আক্তার। তিনি নিজেই ঘুরে ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনিয় জিনিস কিনছিলেন। ঠনঠনিয়া এলাকার ফেরদৌস হোসেন। কতদিন পরে বের হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০দিন পরে বের হলাম। বাড়ি থেকে কেউ বের হতে দেয়না। সাতমাথা কেন্দ্রীক কাঁচাবাজার, মাছের দোকান হওয়ায় দু’টোই কিনলাম। বেশ নিরিবিলি পরিবেশ। ভিড়ভাট্টা কম। ঠিক একই কথা বললেন বৃন্দাবন পাড়ার আলী আহমেদ। তিনি বলেন, ঘর হতে ৫দিন পরে বেরিয়ে টাটকা সবজি কিনলাম। দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরা দিন রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন৷ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। তিনি আরও বলেন, জিবন জীবীকার তাগিদে ফাঁক ফোকর দিয়ে চলছে চলাফেরা। বগুড়ায় লকডাউন কিংবা ১৪৪ধারা জারি না হলেও প্রসাশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহর এবং শহরতলীর মানুষ যাতে কাঁচাবাজার, মাছ-মাংশ আর ওষুধ কিনতে পারে সেজন্য শহরের সাতমাথা হতে নবাববাড়ি সড়ক পর্যন্ত, শহীদ খোকন পার্কের দু’ধারে দিয়ে বিভিন্ন দোকান বসিয়েছে। বাজারের সময় সকাল ৭টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর আগে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে দোকান বসানো হলেও এলাকার মানুষ অস্বস্তি প্রকাশ করায় এবং এক পশলা বৃষ্টিতে যবুথবু অবস্থায় বাজার ভেঙে আবার সাতমাথায় এলাকায় শনিবার থেকে বসানো হয়েছে। তবে বাজারের প্রথম দিনে তেমন ক্রেতা ছিলনা, ফলে বেশ কিছু ব্যবসায়ী বিশেষ করে মাছ ব্যবসায়ীদের লোকশান গুনতে হয়েছে। আবার কিছু ক্রেতা অভিযোগের সুরে বলেন বাজার নিয়ে টানাহেচড়া না করে স্থান ফিক্সড করলে আমরা উপকৃত হবো। গোলাবাড়ির মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, সকাল ৮টায় দোকান লাগিয়ে ক্রেতা কম থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছিল। একই অবস্থার কথা বললেন মাছ ব্যবসায়ী শামিম। বাজার নির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিত বসলে বেচাকেনা করা যায়। এখানে প্রথম দিনে তেমন ব্যবসা হয়নি তবে মাছ ব্যবসায়ী ও কাচাবাজার দোকানিরা আশাবাদী। সড়কের দু’ধারে বসা এসব ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে বেশ কিছু দিন যাতে ব্যবসা করা যায় সেজন্য প্রসাশনের অব্যহত সহযোগিতা চেয়েছেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তারপরও পুলিশ সবসময় মনিটরিং করছে। যেন সামাজিক দূরত্বে বজায় থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com