Logo
HEL [tta_listen_btn]

রোজায় সব বন্ধ রাখতে পারব না সীমিত আকারে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোজায় সব বন্ধ রাখতে পারব না সীমিত আকারে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা অফিস(দৈনিক দেশের আলো):  সামনে রোজায় সব বন্ধ রাখতে পারব না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাবলেছেন,সীমিতআকারে ইন্ডাস্ট্রি চালু করা যাবে।

আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে গাজীপুর জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু এটা ইন্ড্রাস্টিয়াল বেল্ড, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের লক্ষ্য আছে খোলা রাখার। বিশেষ করে যারা রফতানিমুখী। একটা কাজ করতে পারেন যদি তারা ইন্ডাস্ট্রি খুলতেও চায় কাজ করতে চায়, সেখানে এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কীভাবে এই শ্রমিকদেরকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে এবং তাদেরকে সুরক্ষিত রেখে বা তাদের থাকার জায়গা দিয়ে সেখানে যদি থাকার ব্যবস্থা করা যায়। যেখানে তারা সুরক্ষিত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিগুলোর নিজস্ব জায়গা অনেকের আছে, সেখানে যদি তারা একটা ব্যবস্থা করতে পারে। এভাবে যদি তারা ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি তো চালু করতেই হবে। বিশেষ করে আমাদের ওষধ শিল্প বা এই যে আমরা করোনাভাইসের জন্য অ্যাপ্রোন থেকে শুরু করে পিপিই থেকে শুরু করে যা মাস্ক এবং হেড ক্যাপ, তারপর সু ক্যাপ-এইগুলো যারা তৈরি করছে, তাদের জন্য তো খোলা রাখতে হচ্ছে। এটা ওইভাবে আলোচনা করে যে তারা কত পারসেন্ট আসতে চায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের আনা-নেয়ার ব্যপারে…গতবার যেমন হঠাৎ সুপারভাইজার দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসল। আমি মনে করি এটা কোনোমতেই ঠিক হয়নি। তাদের এই আসা-যাওয়ায় যে কষ্টটা তারা পেয়েছে এবং পরদিনই বলেছে চলে যাও। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ সেখানে মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে এই মেয়েরা পর্যন্ত গার্জিয়ানকে সঙ্গে করে হেঁটে হেঁটে এসেছে। এইভাবে তাদেরকে যেন কোনোভাবে এসে না পড়তে হয়। তাদেরকে আনতে হলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে আবার তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন স্বাস্থ্য বিষয়ে সুরক্ষা রেখে থাকতে পারে, তাহলে তারা (কারখানা) চালু করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘সামনে রোজা। আমরা সবাইকে একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারব না। আমাদের কিছু জায়গা আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতেই হবে। তবে যেহেতু গাজীপুরে খুব বেশি আবার দেখা দিচ্ছে এই রোগের প্রাদুর্ভাবটা, এখানে আপনাদের চিন্তা করতে হবে ওই ২৪ বা ২৫ তারিখে এটা (কারখানা) চালু করা ঠিক হবে কি-না। সেখানে কী পরিমাণ রোগী আছে বা পরীক্ষায় কত জন শনাক্ত হয়েছে এই বিষয়গুলো আগে জানতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে ২৭৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যেভাবে বাড়ছে এই বাড়ার ট্রেন্ডটা তো ঠিক না। লকডাউন করতে হবে, সেটা বুঝে নিয়েই আপনাদের ইন্ডাস্ট্রি খোলার কথা ভাবতে হবে। নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। আমিও চাই না একেবারে বন্ধ থাকুক। সীমিত আকারে শ্রমিক আসতে হবে এবং তা ওভাবে চালু করতে হবে। কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তারপর আপনারা ঠিক করবেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com