মে দিবসে দেশের সব শ্রমজীবী মানুষের প্রতি রইল আপোশহীন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারুন্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আহবায়ক শ্রমিক দল আড়াইহাজার উপজেলা
শ্রমজীবী মানুষের শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে জন্ম মে দিবসের। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই করো’ যে স্লোগান, তার প্রেরণাও লুকিয়ে আছে এই শ্রমিক দিবসেই। প্রায় দেড়শ বছর আগে শ্রমিকদের প্রাণের বিনিময়েই অর্জিত হয় দিনে আট ঘণ্টা শ্রমের নিশ্চয়তা। এরপর থেকেই দেশে দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে শ্রমিকদের মর্যাদা অর্জনের দিনটি। দেশেও শ্রমিক সংগঠনগুলো তো বটেই, রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচি শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও ) এবং দেশের শ্রম আইন সংবিধান অনুসারে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষিত আছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার যেন কিতাবে আছে গোয়ালে নেই। বরাবরই এই দেশের দিনমজুর শ্রেণীর মেহনতি মানুষ বঞ্চিত ও শোষিত। শুধু গার্মেন্টস শিল্পে নয় ওয়ার্কসপ বিভিন্ন মিল, ফ্যাক্টরি ও ব্রিকফিল্ড শ্রমিকের পর সবচেয়ে বেশি শোষণের শিকার হয় ঘরের গৃহকর্মীরা। গায়ে কেরোসিন ঢেলে গরম ইস্ত্রির সেকা দিয়ে পিট ঝলসিয়ে দেওয়া ঘটনা অহরহ। শুধু তাই নয় গৃহ কর্মীদের উপর বর্বর নির্যাতনের পাশাপাশি খুন ধর্ষণও করা হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যে গৃহকর্মী নির্যাতনে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি এগিয়ে। নারী হয়ে নারীর উপর বর্বরতা নষ্ট সমাজের নিদর্শন। ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা অনেক বেশি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই সব মানুষকেই বেশি ভালবাসেন যারা সৎ এবং মেহনত করে। তাই শ্রমিকের ঘাম শুকাবার আগেই ন্যায্য পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম। এই দেশের মজদুর মানুষের জীবনসংগ্রামের অব্যক্ত কাহিনী আর নয় এবারের মহান মে দিবস মজদুর মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন হোক এই প্রত্যাশার দেশের সকল মেহনতি মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি ,জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের জয় হবেই একদিন না একদিন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।