এনামুল হক রাঙ্গা উত্তরাঞ্চল প্রধান : করোনা ভাইরাসের সংক্রমন কমাতে সারাদেশে কারাগারগুলো থেকে প্রায় তিন হাজার বন্দিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় বগুড়া কারাগার থেকেও গত দু’দিন প্রথম দফায় ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বগুড়া কারগারের জেইলর মোঃ শরিফুল ইসলাম তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। যাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে তারা সবাই লঘুদন্ডে দন্ডিত। শূন্য থেকে তিনমাস, আবার তিনমাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত যারা সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। কারাগার সূত্রে জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে কয়েকটি ধাপে মোট ২ হাজার ৮৪৪ জনকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। শুধু বগুড়ায় নয়, সারাদেশেই তালিকাভুক্ত কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে। এর আগে গত শনিবারও নওগাঁ কারাগার থেকে প্রথম ধাপে ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য কারাগার থেকেও তালিকাভুক্ত বন্দিদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। বগুড়া কারাগারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বগুড়া কারাগারে ধারণ ক্ষমতায় অনেক বেশি বন্দি রয়েছে। বগুড়া কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৭২০ জনের। অথচ গত সোমবার পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রয়েছে দু’হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে কয়েদি রয়েছে ৩৪৯ জন আর হাজতি রয়েছে এক হাজার ৯৪৪ জন। ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ বেশি বন্দি থাকায় বগুড়া কারাগারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার শংকা রয়েছে। তাই করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা কর বগুড়ায় ১৫৯ জন বন্দির মুক্তির বিষয়টি বিবেচনার জন্য ঢাকায় মহা কারা পরিদর্শরে মাধ্যমে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সরকার তালিকাভুক্ত বন্দিদের মুক্তি দেয়া শুরু করেছে। বগুড়া কারাগার থেকে প্রথম পর্যায়ে যে সব বন্দি মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন এক বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আনোয়ারুল (৩৫) ও একই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বুলু মিয়া (২৭), লতিফপুর কলোনীর আকতার হোসেনের ছেলে মোঃ রুবেল (২৪), শাজাহানপুর উপজেলার নাদুরপুকুর চকপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে এনামুল হক (২৯), সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা গ্রামে আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ সুজাউল (৪০) ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার মুক্তাগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আমিনল ইসলাম (২৮), ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামের আজহার প্রামানিকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), শিবগঞ্জ উপজেলার ছাইমুল্লাহ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে নূর আমিন (২৬) ও একই উপজেলার চাকলমা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), শহরের চকসূত্রাপুরের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ সুজন (৩৮) এবং ধুনট উপজেলর ছোট চিকাশি গ্রামের বাছেদ শেখের ছেলে জাবেদ শেখ (৪৭)। এদের মধ্যে গত রবিবার ৯ জনকে এবং গত ২৭ এপ্রিল ২ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। যাদের কারাদন্ড প্রদানের সাথে জরিমানাও করা হয়েছিল তাদের জরিমানা আদায় করে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।