বগুড়া থেকে এনামুল হক রাঙ্গা : বগুড়ায় করোনায় সুস্থ ৫ জনকে গানে আর ফুলে ছাড়পত্র দিলেন চিকিৎসকরা । বগুড়ায় ৫ জন করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টানা প্রায় ১৪ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দিলে তারা বাড়ি ফিরেন। ছাড়পত্র দেয়ার পর ওই ৫ জন করোনা রুগিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিভাদন জানানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কড়তালি ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সুস্থরা বলেন, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তারা ভাল চিকিৎসা পেয়েছেন। ডাক্তার ও নার্সরা সার্বক্ষনিক খোঁজ নিয়েছে। এদিকে ৫ জন সুস্থ হলেও মঙ্গলবার আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়। তাদের একজন বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী এলাকার বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা (৪৫) অপরজন বগুড়া শহরের ফুলতলার বাসিন্দা এক শিশু (১২)। শিশুটির বাবা ঢাকা থেকে ফেরার পর প্রথম সে তারপর তার স্ত্রী এবং সর্বশেষ তাদের শিশুটিও করোনায় আক্রান্ত হয়। একই দিনে ব্যাংক কর্মকর্তাও আক্রান্ত হয়। তিনি সৈয়দপুর এলাকায় একটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। সেখানে ব্যাংকের সাতজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি নিজ বাড়ি বগুড়ায় ফিরে আসবার পর নমুনা টেস্ট করে করোনায় আক্রান্ত হন। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত এপ্রিল মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠা ওই ৫জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের নিবির পরিচর্যায় ছিলেন। চিকিৎসার এক পর্যায়ে তাদের আবারো দুইবার পরীক্ষা করার পর নেগেটিভ এলে তাদের ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বুধবার ৬ মে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। ছাড়পত্র প্রদান করা হয় ধুনট উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের নুরুন্নবী (২০), সারিয়াকান্দি উপজেলার মামুনুর রশীদ (২৮), সোনাতলার গৃহবধু কোহিনূর বেগম (৪৭), সারিয়াকান্দির বাসিন্দা মোঃ রিপন (২৫), বগুড়া শহরের সবুজবাগ এলাকার জাহিদুল ইসলামকে (৪০)। এর আগে আরো দুইজন কোভিট-১৯ পজিটিভ থেকে সুস্থ হয়। এদের একজন রংপুরের বাসিন্দা শাহ আলম ও আদমদিঘির পুলিশ কন্সটেবল আহসান হাবিব। ওই ৫জনকে ছাড়পত্র দেয়ার সময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ এটিএম নুরুজ্জামান, বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন, আরএমও ডাঃ শফিক আমিন কাজল, ডাঃ খাইরুল বাসার মোমিনসহ হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ কর্মরা। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, ৬ মে বুধবার বগুড়ায় ৫জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ছাড়পত্র দেয়া হযেছে। একই সাথে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। কিছু দিক নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠা ৫জনকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। ৫জন সুস্থ হলেও মঙ্গলবার আরো দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে এক শিশু অপরজন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।