এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, সকাল ৬টার দিকে দিঘীরপাড়ের উইলসন কবরস্থান রোড এর ৪৬১/১ হোল্ডিংয়ের রফিকুল ইসলাম হাসানের পাঁচতলা ভবন রাবিয়া মঞ্জিলের নীচতলায় সেপটিক ট্যাংক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এসময় পাশের একটি চারতলা ভবন ও টিনসেড বাড়ির কিছু অংশ ধসে পড়ে।
বিস্ফোরণের পর পাঁচতলা ভবনটির নীচতলার ভাড়াটে খোরশেদ আলমের ঘুমন্ত দুই শিশু মাকরুন (১৩) ও জিসান (৮) খাট থেকে ছিটকে বিস্ফোরিত ট্যাংকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হন পাশের ফ্লাটের ভাড়াটে পরিবারের তিনজন। তাদের ঘরের সব আসবাবপত্র ভেঙে-চুড়ে যায়।এই বিস্ফোরণেল ঘটনায় ভবনটির বিপরীত দিকের টিনসেট বাড়ির কিছু অংশ ধসে পড়লে লাবনী বেগম নামে সাত মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীও নিহত হন। আহত হন তার মেয়েসহ আরও দুই ভাই বোন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও কম্পনে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে আশপাশের বিভিন্ন বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হন।
খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নিহত ও আহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। তবে দুর্ঘটনার পর বাড়ির মালিক কাউকে সহযোগিতা না করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটেদের পরিবার।
আহতদের মধ্যে নিহত অন্তঃসত্ত্বা নারী লাবনী বেগমের মেয়ে নাবিলা, দুই ভাইবোন রেকমত শেখ, রুবেল এবং অপর পরিবারের তামান্না ও শহীদকে ঢাকা মেডিকেল এবং স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও স্বজনরা।এদিকে দুর্ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শুক্লা সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সাথে কথা বলেন। পরে বাড়িটির সকল বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের অন্যত্র সড়িয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়ে যান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।