পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলার যমুনেশ^রী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পূণঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পলাশবাড়ী ও পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর বাম তীর বদনাপাড়া নামক স্থানে ০০ কিলোমিটার হতে ৪০০ মিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষার কাজ ৪,২০,৭১,৯৪০.০৩৬ টাকা ব্যয়ে ২০/০৩/২০১৯ তারিখে মোঃ খাইরুল কবির রানা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। রংপুর বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, ভূমি আইন অনুযায়ী যে স্থান দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সেই সকল জমি সরকারী খাস জমিতে পরিণত হয়। কিন্তু এলাকার কিছু স্বার্থান্বেশী মহল সরকারী নদীর জায়গাকে নিজের রেকর্ডভূক্ত জমি বলে জমির ভর্তুকি বাবদ টাকার দাবী করে উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছে। তাতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের ৪০০ মিটার জায়গার মধ্যে ২৩০ মিটার জায়গার কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। বাকী ১৭০ মিটার জায়গার কাজে কিছু স্বার্থান্বেশী মহল বাঁধা প্রদান করায় সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এলাকাবাসী জানান, এই বদনাপাড়া নামক স্থানে ইতিপূর্বে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রতিবছরই বন্যার সময় উক্ত স্থান দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়ে পলাশবাড়ী, পীরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষকদের নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সরকার বিশেষ বিবেচনা করে উক্ত স্থানে নদীর তীর প্রতিরক্ষার কাজ শুরু করেন। কিন্তু এলাকার কিছু স্বার্থান্বেশী মহলের কারণে তা বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই উক্ত কাজটি বর্ষা মৌসুমের আগেই সম্পন্ন করতে না পারলে এবারও বন্যায় কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের রোপা আমন ধান সহ কোটি কোটি টাকার নানা ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে তাদের ধারণা। ভুক্তভোগী কৃষকরা জরুরী ভিত্তিতে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।