আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাজারগুলোতে বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলো খোলা ছিল। এতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হোসেন ও সহকারি কমিশনার ভূমি উজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারে ব্যাপকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে লোক সমাগম কমে যায়। তবে গত কয়েক দিন ধরেই শুক্রবার ও শনিবার মার্কেট খোলা থাকবে বলে একটি গুজব ছিল। এই গুজবকে কাজে লাগিয়ে মূলত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট খোলে রাখেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ১৭ মে রাতে নতুন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তাতে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঔষধের দোকান, সার-বীজ, কৃষিপণ্য, কাঁচা বাজার, কীটনাশক, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ব্যতিত অন্য সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। ১৯ মে মঙ্গলবার থেকে এই ঘোষণা কার্যকরি হয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপণি বিতান ও শপিংমল খোলা হয়। এতে সকাল থেকেই বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নামে। এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৪জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এরই মধ্যে ২৯জন সুস্থ হয়েছেন। গতকালই ৭জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিগত দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। উপজেলা নির্বাহী সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলোতে লোক সমাগমের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে বাজারে ব্যাপকভাবে অভিযান চালিয়ে সব বিপণি বিতান ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ গতকাল শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে গেছে (কোভিডÑ১৯) করোনাভাইরাসকে অপেক্ষা করে আড়াইহাজারে বিভিন্ন এলাকায় বিপণি বিতান ও শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। অধিকাংশ ক্রেতার মুখেই ছিল না মাস্ক। শপিংমলগুলোর প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ঈদের কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা ভেঙে পড়ে। মার্কেটগুলোর ভিতরে জীবাণু নাশক ম্প্রে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ক্রেতারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করে অবাধে চলাচল করছেন। আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের পিংকি সুপার মার্কেটের প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্রেতাই তা মানছে না। অনেকের মুখে ও হাতে ছিল না কোনো সুরক্ষা সামগ্রী। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অনেকের মধ্যে উদাসহীনতা দেখা গেছে। ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, মার্কেট খোলা থাকায় আমরা কেনাকাটা করতে এসেছিলাম। মার্কেটে বন্ধ থাকলে আসা হতো না। পিংকি মার্কেটের এক ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, মার্কেট খোলা রাখার একটি গুনজন ছিল। সেই সুবাদেই আমরা দোকান খোলে ছিলাম। তিনি আরো বলেন, যেহেতু একটি গুনজন ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকালেই আমাদের নিষেধ করা উচিত ছিল। এতে লোক সমাগম হতো। স্থানীয় অনেক মসজিদে জুমার নামাজেও অনেক মুসল্লি মাস্ক ছাড়াই নামাজ আদায় করতে আসতে দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও মানা হয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।