মোঃ মোশফিকুর ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝর আম্পানের প্রভাবে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় অসহায় বৃদ্ধার ভেঙে পড়া ঘর বৃষ্টিতে ভিজে নতুন করে নির্মাণ করে দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুক্রবার দুপুর হতে বিকাল সাড়ে টার চার টা পর্যন্ত উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের ভারতীয় সিমান্ত ঘেষা এলাকায় বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের একটি ঘর নির্মান করে দেয় খোলাহাটি ক্যান্টনমেন্টের সেনাবাহিনী সদস্যরা। নতুন ঘর পেয়ে বেজায় খুশি ওই বৃদ্ধা। মরিয়ম বেগম (৭০) আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ঝড়োত মোর (আমার) ঘর ভাঙ্গি মাটিত পড়ি যায়। মোরতো স্বামি-সন্তান কাহো (কেউ) নাই। ঘর ঠিক করার জন্যে চেয়ারম্যানের কাছোত (কাছে) অনেক কাঁন্দাকাটি করিছু। আর্মির ছাওয়ালা (ছেলেরা) মোর ঘর নয়া (নতুন) বানায় দিছে। ওমার (ওদের) আল্লাহ ভালো করিবে। কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু জানান, ঘুর্ণিঝড়ে বৃদ্ধা মরিয়ম বেগমের ঘর ভেঙে যাওয়ার খবর আমি সেনাবাহিনীকে জানাই সকালে। তারা দুপুরে এসে নতুন টিন, বাঁশ কিনে একটি ঘর তৈরী করে দেয়। তিনি জানান, মরিয়ম বেগমের ১০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর হতে একটি ঘরে একা বসবাস করে আসছে। তার কোন ছেলে মেয়ে নাই। খোলাহাটি ক্যান্টমেন্টের ক্যাপ্টেন তানজিম রহমান জানান, দেশের সকল দূর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে। করোনা মোকাবেলায় আমরা সামাজিক দুরত্ব, সচেতনতাসহ অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও চিকিৎসা দিয়ে আসছি। তিনি জানান, কোথায় কি সমস্যা হচ্ছে তা জানতে, জনপ্রতিনিধিদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছি। আজ সকালে কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু আমাকে ফোন করে জানায়, ঘুর্ণিঝড়ে তার এলাকার এক বৃদ্ধার ঘরে ভেঙে গেছে। সকাল থেকে উপজেলার আড়াই শত অসহায় গরিব মানুষের মাঝে আমরা খাদ্য সহায়তা দেই। আর দুপুরে গিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষে নতুন টিন, বাঁশ কিনে একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেই। তিনি বলেন, যেকোন সংকটে আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।