দেশের আলো রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে ইজিবাইকে চলাচলের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। একজনের অন্যজনের গা ঘেঁষে বসা, মাস্ক-হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার না করার পুরনো চিত্র দেখা গেছে এই গণপরিবহটিতে। সোমবার শহরের চাষাড়া, খানপুর হাসপাতাল মোড়, ফতুল্লার পঞ্চবটি, পাগলা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী ইপিজেট গেইট, শিমরাইল মোড়, জালকুড়ি, চৌধুরীবাড়ি, পাঠানটুলী, আইটস্কুল মোড, শিবুর্মাকেটসহ
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া এতদিন লকডাউন চললেও তার মধ্যেই চলাচল করেছে ইজিবাইক। সামাজিক দূরত্ব না মেনে
চালকের আসনের দুই পাশে দুইজন। পেছনে চার আসনে মুখোমুখ চারজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে এই পরিবহনটি। একইভাবে যাত্রী পরিবহন
করছে ইজিবাইকগুলো। সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ গণপরিবহনের তালিকায় রয়েছে এ ইজিবাইক। তুলনামূলক ছোট আকারের এই গণপরিবহনটির
মাত্রাতিরিক্ত গতিতে ছুটে চলা ও অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার সারাদেশের মোত
নারায়ণগঞ্জেও টানা ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারের পক্ষ থেকে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি ও
সামাজিক দূরত্ব মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সে দূরত্ব মানা হচ্ছে না ইজিবাইক চালকরা। প্রতিটি ইজিবাইক
চালকের পাশের আসনে বসছে দুইজন। পেছনে দিকে দুই পাশে ৩ জন করে মোট ৮ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রী পরিবহন করতে বলা হলে ২ জন যাত্রী নেওয়ার কথা। এতে প্রতি জনের মধ্যে এক ফুটেরও কম দূরত্ব থাকছে। আবার দুই পাশের যাত্রীরা বসছেন
মুখোমুখি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছে না। আবার যাত্রীর মধ্যেও অসচেতনায় ঘাটতি নেই। আদমজী ইপিজেট থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ইজিবাইকের চালকসহ অনেক যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া চলাচল করতে দেখা গেছে। হাতেগোনা দুই
একজন যাত্রীর হাতে হ্যান্ড গ্লাভস থাকলেও বাকিদের হাতে নেই। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইজিবাইকটির একজন চালক বলেন, আমরাও জানি সামাজিক দূরত্ব মানা হয় নাই। কিন্তু কি করার আছে। ইজিবাইক বডিই ৪ ফুটের। এর মধ্যে তিন ফুট দূরে দূরে লোক বসায় কেমনে? ওই
হিসাবে যাত্রী নিতে গেলে রোজ উঠবেনা। জমা দিতে পারবনা মালিকের। তাই করোনাকে ভয় করেও সামনে আসনে যাত্রী উঠাতে হয়। যাত্রীদের
অসাবধানতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা কি যাত্রীরে মাস্ক কিনা দিমু? এরা ভয় পায় না, মানে না। সকাল থেকেই দেখতাছি, বহুত লোক মাস্ক পড়ে নাই। এইখানে আমাগো কি করার আছে? এবিষয়ে সমাজ সেবক, শিল্লপতি রফিকুল ইসলাম মুন্না বলেন, ইজিবাইকটি সরকার
বা নাসিক এলাকায় চলাচল করা নিষিদ্ধ আমি জানি। এই মহামারি করোনার মধ্যে ইজিবাইকের চালকরা নগপরিবহন বন্ধের সুযোগে টাকা
কামানোর জন্য মানুষগুলোকে মৃত্যু দিকে নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ খুললে ছেলে মেয়েরা চলাচল করতে গেলে সামজিক দূরত্ব নানতে চাইবে। কিন্তু
চালকরা তা নামবেনা হবে না। এটা দিনে আবার বিশৃঙ্খলা হবে। তাই প্রশাসনের উচিত হবে, ইজিবাইক চালক ও মালিকদের সাথে বসে
সমাধান করা। যাতে চালকরা সামনে কোন যাত্রী না উঠায়। আর ৪ জন যাত্রী নিয়ে চলে। আর না হলে এই পরিবহনটি বন্ধ করে দেওয়া হক। কারন এই পরিবহনটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিচ্ছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।