নিজস্ব সংবাদদাতা
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো দেশের সকল দোকানপাট ও বিপনী বিতান। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছিলো বন্ধ মার্কেটগুলো, আর সে সময়ে উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা গিয়েছিলো নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বিপনী বিতানগুলোতে। কিন্তু ঈদের পর গত ৩১ মে থেকে আবারো মার্কেট খুললেও এবার আর ক্রেতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জের মার্কেট আর দোকানে। অনেকটাই ক্রেতা শূণ্য হয়ে পরেছে বেশীরভাগ মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জের প্রায় সব মার্কেটই খোলা রয়েছে তবে নেই ক্রেতা। নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার সমবায় মার্কেট, মার্ক টাওয়ার, হক প্লাজা, পানোরমা প্লাজা, লুৎফা টাওয়ার, সায়াম প্লাজাসহ ডিআইটির বেশীরভাগ মার্কেটই খুলে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও মহিলাদের অন্যতম প্রধান কেনাকাটার স্থান কালীরবাজারের ফ্রেন্ডস মার্কেটও খোলা দেখা গেছে। বেশীরভাগ দোকানেই বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন। কেউ পত্রিকা পরছেন কেউবা পাশের দোকানের সহকর্মীর সাথে আড্ডা দিচ্ছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত দোকান খুলে তেমন কোন বেঁচাকেনাই করতে পারেননি তারা। অনেক দোকানে সারাদিনে কোন বিক্রি হয় না। শহরের চাষাঢ়ার সমবায় মার্কেটের স্নিগ্ধা ফ্যাশনের বিক্রেতা মামুন জানান, গত এক সপ্তাহে দোকান খোলা রাখা হয়েছে কিন্তু কোন বিক্রি নাই। যা দু একজন কাষ্টমার আসে তারা শুধু দরদাম যাচাই করে চলে যান। কোন কোনদিন সাইদ বাট্টাও হয় না। জানা যায়, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া দেশের সকল মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলো খুলেছিলো রোববার ১০ মে। দীর্ঘ ৪৫ দিন বন্ধ থাকার পরে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে খুলে দেয়া হয়েছে এসব মার্কেট ও দোকানপাট। যদিও দেশের অনেক জেলায় দোকান মালিক সমিতি বন্ধ রেখেছে তাদের মার্কেট, এমনকি রাজধানী শহর ঢাকার বড় বড় মার্কেটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে রোববার খুলেছে তাদের সকল দোকানপাট ও শপিংমল। আর মার্কেট খোলার পর থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গিয়েছিলো মার্কেটগুলোতে। তবে ঈদের পর আর ক্রেতা পাচ্ছেন না তারা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।