নিজস্ব সংবাদদাতা : হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন মিরা রানী দাস। সেবা দিতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা ভাইরাসে। ৩৬দিন করোনার সঙ্গে লড়াই করে এবার নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মীরা রানী দাস (৫৪) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিনিয়র ষ্টাফ ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ ইভা এবং প্রয়াত মীরা রানী দাসের স্বামী ব্যাংকার সুমন কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মীরা কাঁচপুরের সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আমীন জানান, ৩১ মে উপসর্গ দেখে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার দেহে কোভিট-১৯ এর উপস্থিতি সনাক্ত হলে প্রথমে তাকে বাসায় আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে অবস্থা অবনতি হলে ৭ মে কাচঁপুর তাকে সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিৎ করে স্বামী সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় তার সাথে আমার শেষ বার আই সি ইউতে কথা হয়। ১১টায় সে মারা যায়। মীরার লাশ ঢাকার পোস্তগোলায় দাহ করা হবে। মীরার পৈত্রিক বাড়ী টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাড়াগ্রাম গ্রামে। স্বামীর বাড়ী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া গ্রামে। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তার মৃত্যুতে উপজেলা হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা আফরোজ ইভা। তিনি সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান। প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্যসহকারী সহ মোট ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ্যও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ২৩ জন আক্রান্ত হওয়ার পরও স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। এর আগে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন খানপুর ৩০০শয্যা হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক আমেনা বেগম।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।