ঢাকা অফিস: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আজ রোববার সকাল ১১টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।এর আগে রোববার সকাল পৌনে ১০টায় সোবহানবাগ জামে মসজিদে এবং সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানের পাশে জানাজা হয়।বনানীতে জানাজা শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকায় মোড়া কফিনে ফুল দিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে সহকারী সামরিক সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সামরিক সচিব।রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ নাসিমকে শেষযাত্রায় শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, জাসদ ছাড়াও নানা সংগঠন আসে। আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ শ্রদ্ধা জানায়।শেষ বিদায়ের আগে একাত্তরের রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানাতে বনানীতে আসেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ।শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিম ভাইকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ এবং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারিয়েছেন বিশ্বস্ত হাতিয়ার। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল মোহাম্মদ নাসিম ভাইয়ের।’এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা, অসম সাহসের অধিকারী, জনবান্ধব আপসহীন নেতা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ততার প্রতি অবিচল।’নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ জুন থেকে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাসিম।করোনাভাইরাসমুক্ত হলেও এর মধ্যে ব্রেইন স্ট্রোক হলে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। পরিবার বিদেশে নিতে চাইলেও সে অবস্থা ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানান।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন