বন্দর সংবাদদাতা:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তালাকপ্রাপ্তা গৃহবধূ ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ফেইজবুকে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমিলিং এর অভিযোগ পাওয়া গেছে লম্পট সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে ভূক্তভোগী তালাকপ্রাপ্ত গৃহবধূ বিষয়টি বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ রফিকুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক বন্দর থানার উপ-পরির্দশক আনোয়ার হুসাইনসহ তার সঙ্গীয় র্ফোসকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠেয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারনা শিকার তালাকপ্রাপ্তা গৃহবধূ বাদী হয়ে লম্পট সেলিম হোসেনকে আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছে। প্রতারনা শিকার তালাক প্রাপ্ত গৃহবধূ বন্দর প্রেসক্লাবের গনমাধ্যম কর্মীদের আরো জানান, গত ৩ বছর পূর্বে ঢাকা খিলখেত এলাকার আলম মিয়ার সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারিবারিক কলোহের জের ধরে গত ২০২০ ইং এর ৩ জানুয়ারি আলমের সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্দর থানার নবীগঞ্জ অলেম্পিয়া এলাকার মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফা মিয়ার ছেলে সেলিম হোসেন নিজেকে অবিবাহিত বলে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। পরে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রতারক সেলিম বিয়ের কথা বলে ১৫ জুন তার খালার বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। পরে ১৮ জুন কথা বলার জন্য আমাকে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোট নিয়ে সেখানেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে আমি সেলিমের বিয়ের বিষয়সহ
সে ২ সন্তানক জানতে পেরে আমি তাকে আমার জীবন থেকে সরে যেতে বলি। কিন্তু সেলিম আমার পিছন না ছেড়ে দিয়ে উল্টা ধর্ষনের ভিডিও
চিত্র ভাইরাল করে দিবে বলে আমাকে নানা ভাবে হুমকি দামকি দিয়ে আসে। এক পর্যায়ে গত ২৩ জুন আমাকে মারধর করে আমার একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে সেলিম হোসেনের অত্যাচারে আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ রফিকুল ইসলাম গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি মেয়েটির কথা শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হুসাইন বিষয়টি তদন্ত করছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।