নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন, যেহেতু এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চলছে। সেই সংক্রমণ প্রতিরোধে ঈদুল ফিতরের মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুরবানী পশুর হাটগুলোতে জীবানুনাশক ট্যানেল বসাতে হবে। হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই আগের চেয়ে হাটের সংখ্যা বাড়বে না বরং কমিয়ে এনে হাটের জায়গা বাড়ানো হবে। গরু কিনার উদ্দেশ্য নিয়েই হাটে যেতে হবে হাটে অযথা ঘুরাঘুরি করা যাবে না। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বেলা ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাতের প্রস্তুতি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির এই সভায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আগের চেয়ে অনেক কমে এসেছে। সেই অবস্থান ধরে রাখতে হবে। হাটগুলোতে একপথ দিয়ে ঢুকতে হবে। শিশুদের নিয়ে হাটে যাওয়া যাবে না। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক হাটে মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে। এখন পন্তন্ত গবাদি পশুর মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর রেকর্ড নেই। কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাস্তায় কোন হাট বসানো যাবে না। হাটগুলো পরিস্কার রাখতে হবে। ইজারাদারকে বলে দিতে হবে যেন সাথে সাথেই হাটগুলো পরিস্কার করে ফেলে। নিয়মিত জীবানু নাশক স্প্রে করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। নৌ-রুটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোড়দার থাকবে। কোনোভাবেই ঈদ যেন সংক্রমণের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সভায় অনলাইনে জুমের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ ও সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সেলিম ওসমান রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম বেপারী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাসানুজ্জামান সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।