অনন্যা জাহান :
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করে থাকে ‘জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি করতেন ‘করোনার পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট’। এমন অভিযোগে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল। এর আগে গত ২৩ জুন ওই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হাসানাত খন্দকার বলেছিলেন, ‘করোনা পরীক্ষার কথা বলে ভুক্তভোগী রোগীর সঙ্গে প্রতারণার দায়ে ওভাল গ্রুপের মালিক আরিফ চৌধুরীসহ মোট ছয়জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ করত। এই নমুনা সংগ্রহের পর তা আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত না। পরীক্ষা না করেই নিজেদের কম্পিউটার দিয়ে করোনার রিপোর্ট বানাত। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল। পরে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। তারা করোনা রোগীদের সঙ্গে দুই মাস ধরে এই প্রতারণা করছে।’ পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরিফ চৌধুরীর দাবি, তেজগাঁও কলেজে তাদের একটি করোনার বুথ রয়েছে। ওই বুথ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত। সেখানে তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এটার আদলে তারা জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্টের নামে একটি পেজ খুলেছিল ফেসবুকে। সেখানে ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। ওই পেজ থেকে যেসব কল আসত, তাদের বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করত। যাদের নমুনা সংগ্রহ করত, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে প্রতি রিপোর্টের জন্য পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হতো। আর বিদেশিদের কাছ থেকে নিত ১০০ ডলার। অথচ কারো নমুনা পরীক্ষা না করেই তারা ইচ্ছেমতো নেগেটিভ-পজিটিভ বসিয়ে রিপোর্ট দিত।’ হাসানাত খন্দকার আরো বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারের সময় তিন হাজার করোনা কিট, ৪০টি ভুয়া করোনার সনদ এবং তাদের কাছে থাকা চারটি ল্যাপটপ ও দুটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এখন গ্রেপ্তারকৃতরা থানায় রয়েছে। আগামীকাল রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হবে
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।