নিজস্ব সংবাদদাতা:
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এলাকায় ১১টি পশুর হাট বসবে। স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার শর্তে ১১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করেছে উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদরের গোগনগর ইউনিয়নের ৬টি, ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে ১টি, কুতুবপুর ইউনিয়নে ৩টি, বক্তাবলী ইউনিয়নে ১টি হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার হাটের সংখ্যা কমেছে। গতবার মোট ১৭টি হাট ছিল সদর উপজেলা এলাকায়। সরকারী সম্ভাব্য ইজারা মূল্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ মূল্যের হাট হলো- কুতুবপুর ইউনিয়নের আলীগঞ্জ নদীর পাড়ে মৃত হাফেজ মোক্তারের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট। যার মূল্য ৩৯ লক্ষ টাকা। সর্বনিন্ম মূল্যের হাট হলো- কাশিপুর ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ (ভূমি অফিস সংলগ্ন) খালি মাঠের অস্থায়ী পশুর হাট। যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। হাটের সিডিউল বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ জুলাই থেকে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত)। এবং দরপত্র দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ জুলাই এবং ওইদিনেই বেলা দুইটায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে। হাটগুলো হলো- গোগনগর ইউনিয়নের পলি ফ্যাক্টরী সংলগ্ন আলী আকবর বেপারীর নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর এলাকার আলী আকবর এর নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পাঠান নগর এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়নের বাড়িরটেক সংলগ্ন মাদবর বাড়ির পশ্চিম পাড়া দেলোয়ার হোসেন এর নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়নের বাদশা মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়নের চরসৈয়দপুর শান্ত ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আসলাম মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, কাশিপুর ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ (ভূমি অফিস সংলগ্ন) খালি মাটে অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের শান্তিধারা এলাকায় (মসজিদ উন্নয়নের স্বার্থে) হাজী আব্দুর রাজ্জাক বেপারীর মার্কেট সংলগ্ন খালি মাঠে অস্থায় পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা তালতলা সংলগ্ন প্যারাডাইস সিটি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের আলীগঞ্জ নদীর পাড়ে মৃত হাফেজ মোক্তারের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে অস্থায়ী পশুর হাট। হাটে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য পৃথক পৃথক গেট করতে হবে এবং নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ-বাহির হতে হবে। একাধিক প্রবেশ পথ হলে প্রত্যেক প্রবেশ পথেই জীবাণুনাশক টানেল এবং থার্মাল স্ক্যানার বসাতে হবে। হাট প্রাঙ্গনে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।