শহর সংবাদদাতা:
ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নগরীর মার্কেটগুলো। ঈদকে সামনে রেখে নিজের ও প্রিয়জনের পছন্দের পোশাকটি কিনতে ভিড় করছেন মার্কেট ও রাস্তার দু’পাশের ফুটপাতের হকারদের কাছে। কিন্তু পছন্দের পোশাকটি কিনতে গিয়ে কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনার হটস্পট থেকে সরে আসছে নারায়ণগঞ্জ। কিন্তু আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে কোন আগ্রহ নেই। তাই করোনায় সংক্রমণ ঝুঁকিও দিন দিন বাড়ছে। এদিকে মার্কেটগুলোর জীবাণুনাশক টানেলগুলোও অনেকটা লোক দেখানোর মত হয়ে পড়ছে। কয়েকটি মার্কেটের জীবাণুনাশক টানেল চললেও অধিকাংশ মার্কেটেরই টানেল লাগানো হয়েছে শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার জন্য। যার মধ্যে অনেক টানেলই অকেজো। শুক্রবার (২৪ জুলাই) নগরীর মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। সাধারণ মানুষ মার্কেটে কেনাকাটা করছেন কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। অনেকে আবার এসেছেন নিজের শিশু সন্তানসহ। যার ফলে তাদের নিজেদের সাথে সাথে শিশু সন্তানরাও করোনার সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়ছেন। একই চিত্র বিক্রয়কর্মীদেরও। মাস্ক পরিধান না করেই তারাও বিকিকিনিতে ব্যস্ত। নগরীর লুৎফা টাওয়ারে মার্কেট করতে এসেছেন পাইকপাড়ার বাসিন্দা জুলেখা আক্তার। তিনি বলেন, আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। কয়েকদিন পরেই গ্রামের বাড়িতে যাবো। তাই বাড়ির সবার জন্যই ঈদের জামা কিনতে এসেছি। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটে এমনিতেই ভিড় থাকে। এর মধ্যে আজকে সাপ্তাহিক ছুটি তাই আজকে একটু বেশিই ভীড়। এত ভিড়ের মধ্যে আসলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করাটা দুঃসাধ্য। যেহেতু ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা করতে এসেছি তাই এই ভিড়ের মধ্যেই তা করতে হচ্ছে। কেনাকাট করতে আসা বা রাস্তা দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের বড় একটা অংশও মানছেন না কোন রকমের স্বাস্থ্যবিধি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অন্তত মাস্ক পরার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু মাস্ক পরার বিষয়ে উদাসীনতা রয়েছে মানুষের। মাস্ক না পড়ার কারণ হিসেবে পথচারী রফিক মিয়া জানান, এমনিতেই প্রচন্ড গরম পড়ে। মাস্ক পড়লে আরো বেশি গরম লাগে। আর রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে অনেক মানুষের সাথে ধাক্কা খেতে হয়। বিশেষত সাপ্তাহিক ছটির দিনগুলোতে তো হাটাই মুশকিল। ধাক্কা খাওয়ার মধ্যেই সেখানেই তো ভাইরাস যা ছড়ানোর ছড়িয়ে যায়। তো আর মাস্ক পড়ে কি লাভ?
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।