Logo

গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই আটক খনি শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবীতে কয়লাখনি এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ : খনি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই আটক খনি শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবীতে কয়লাখনি এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ : খনি গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

অমর চাঁদ গুপ্ত, দিনাজপুর সংবাদদাতা:

গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আটক পাঁচ শ্রমিকনেতার মুক্তি, কাজে যোগদানসহ ঈদ বোনাসের দাবিতে খনি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে খনি শ্রমিকরা। তবে খনির আবাসিক গেটে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকায় সেখানে ভিড়তে পারেননি শ্রমিকরা। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক খনিশ্রমিক পুলিশি গ্রেফতারের আতঙ্কের মধ্যেই খনির আবাসিক গেটের পশ্চিম-উত্তর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম বলেন, খনি কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে খনিশ্রমিকদের নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃত্বদানকারী পাঁচ শ্রমিকনেতাকে গত শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করানো হয়েছে। সকল শ্রমিক কাজে যোগ দিতে চায়। কাজে যোগদানের আগে কভিড-১৯ পরীক্ষাও করতে চায়। কিন্তু তার আগে আটক শ্রমিকনেতাদের মুক্তি দিতে হবে, ঈদের বোনাস দিতে হবে। ওই পাঁচ শ্রমিকনেতাকে জেলে রেখে কোন শ্রমিক কাজে যোগ দিবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়া না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। খনি সূত্রে জানা যায়, ১০৫ জন শ্রমিককে কাজে যোগদানের জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলেও আটক শ্রমিকনেতাদের বাঁধাদানের কারণে শ্রমিকরা পরীক্ষা করতে এবং কাজের জন্য ১৪ দিনের কোয়ানেন্টাইনে যেতে পারেননি। শ্রমিকদের নানাঅজুহাতে আন্দোলনের কারণে খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। খনির কয়লা উৎপাদন বিঘিœত হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, খনির নিরাপত্তা কর্মকর্তা সৈয়দ ইমাম হোসেন বাদী হয়ে শনিবার (২৫ জুলাই) ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ সংখ্যা ছাড়াই অজ্ঞাতনামা খনি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে গত থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-৩০। গ্রেফতারকৃত পাঁচ শ্রমিককে গতকাল রবিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারদেরকে কেন্দ্র করে অন্যরা যেন কোন প্রকার খনি এলাকায় শান্তি শৃৃঙ্খলা বিঘিœত করতে না পারে সেজন্য খনির এলাকায় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকরা খনির আবাসিক গেটে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার জন্য মাইকিং করলেও এখ পর্যন্ত কেউই খনি গেছে আসেনি। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খানের সঙ্গে তার ০১৭১১ ৫২৫৪৩৩ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি না ধরায় এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য নেওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সরকারি কাজে বাঁধাদান, রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টিসহ ভাংচুরের অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পাঁচজন শ্রমিককে গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা হলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, দপ্তর সম্পাদক এরশাদ আলী, জাতীয় শ্রমিক লীগ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শাখার সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com