Logo
HEL [tta_listen_btn]

কবি নজরুলের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

কবি নজরুলের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতা:
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় বন্দর আলীনগর প্রাইমারি স্কুলের মাঠে কাজী নজরুল ইসলাম পাঠাগারের উদ্যোগে ও ছাত্র ফ্রন্ট বন্দর শাখার সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম পাঠাগারের আহবায়ক ফাতেমা আক্তার মুক্তার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সমাজ কবি রঘু অভিজিৎ রায়, প্রগতি লেখক সংঘের নারায়ণগঞ্জ জেলার সংগঠক কবি রইস মুকুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, বন্দর উপজেলার আহবায়ক মুন্নি সরদার, সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান রবিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বন্দর উপজেলার সদস্য নুসরাত জাহান বিথী, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম পাঠাগারের সদস্য সানজিদা ঋতু। এ সময় বক্তারা বলেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের দেশের জাতীয় কবি। তাঁর উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ছোটগল্প, নাটক, গান বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধি এনেছে। রবীন্দ্রউত্তর বাংলা সাহিত্যে তিনি ভিন্ন ধারা নিয়ে আসেন। তিনি বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদের হাত থেকে তৎকালীন ভারতবাসীদের মুক্তির জন্য লেখনি ধারণ করেছিলেন। ১৯২২ সালে তার ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করেন ইংরেজ সরকার। তিনি যেমন লেখনি ধারণ করেছেন তেমনি আবার রাজপথের সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। সেজন্য তাকে কারাবরণসহ নানা নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ দেশের তরুন সমাজের সামনে নজরুলের মত বড় মানুষেরা নেই। যার কারণে আজকে আমাদের দেশে বড় মানুষ তৈরি হচ্ছে না। আরেক দিকে ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আজকের ছেলেমেয়েরা নানা ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, নজরুল সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লিখেছেন ও লড়াই করেছেন। অথচ আজকে আমরা দেখি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। হেফাজতের কথায় পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের লেখা বাদ দেয়া হয়েছে। ১৯২৬ সালের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে নজরুল ‘মন্দির মসজিদ’ প্রবন্ধ লিখেছেন। আজও সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীদের হিং¯্র আক্রমণে রামুর ঘরবাড়ি জ¦লতে থাকে, বাউলরা আক্রান্ত হয়। নজরুল সাম্য চেয়েছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লিখেছেন। আজও আমাদের সমাজে-দেশের শোষণের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে অসংখ্য শ্রমিক। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই আজ কবি নজরুলের চেতনা ধারণ করে পুঁজিবাদী শোষণমূলক সমাজব্যবস্থাকে পরির্বতন করে শোষণহীন সমাজব্যবস্থা নির্মাণের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com