নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ ৩শদ শয্যা হাসপাতালে হঠাৎ ধোয়ায় ভরে যায়। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠে হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী ও আশেপাশের লোকজন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা খানপুর এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটিতে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হঠাৎ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আগুন থেকে সৃষ্ট ধোয়া প্রবেশ করতে থাকে। ধোয়া প্রবেশ করে হাসপাতালের নিচ ও উপর তলা ভরে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও তাদের স্বজনরা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে ধোঁয়া বের করার ব্যবস্থা করেন৷ এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. গৌতম রায় বলেন, হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা প্রতিদিন যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহার করে তা প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি স্থানে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। আজ দুপুরেও নির্ধারিত স্থানে সেগুলো পোড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু ওই স্থানটিতে কে বা কারা কিছু কাগজ ও ম্যাচ ফেলে যায়। সেগুলো পিপিই এর সঙ্গে পুড়ে এবং ধোয়া তৈরী করে। অন্যান্য দিনের তুলনায় ধুয়া বেশি হওয়ায় অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পরে এবং ফায়ার সার্ভিসে জানায়। তবে কোথাও আগুন লাগেনি। সম্পূর্ণ বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নাসিক ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শওকত হাসেম শকু বলেন, দুপুরে সবেমাত্র অফিসে আসি আর এরই মধ্যে একজন এসে বলেন, হাসপাতালে আগুন লেগেছে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিন। সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আমি প্রথমে ফায়ার সার্ভিসে জানাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে কোনো আগুন ছিল না। ধোঁয়ার কারণে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পরেছিল। ফায়ার সার্ভিস এসে ধোঁয়া বের করে নেয়। এ ঘটনায় কারো কোনো সমস্যা হয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।