ফতুল্লা সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় কিশোরী গৃহবধূ সুবর্ণা আক্তার টুম্পার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ নিহতের আপন ভাই, স্বামী ও শ্বাশুরিকে আটক করেছে। এর আগে নিহতের মা পান্না বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আটকতৃতরা হলো, টুম্পার স্বামী গোলাম রাব্বি, শ্বাশুরি লাভলী বেগম ও বড় ভাই মেহদী হাসান নাহিদ। ওসি আসলাম হোসেন জানান, নিহতের বাবা আবু সিদ্দিক ও মা পান্না বেগম নরসিংদী ছিলেন। তারা নারায়ণগঞ্জে আসেন এবং শুক্রবার নিহতের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় টুম্পার বাবা, মা টুম্পার স্বামী রাব্বি, শ্বাশুরি লাভলী ও বড় ভাই নাহিদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে টুম্পার মৃত্যুর তেমন কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর নিহতের শরীরে কোনো রকম চিহ্নও পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’ উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টম্বর বিকেল ৫টায় ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার হারুণ মিয়ার বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধু সুবর্ণা আক্তার টুম্পার (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে টুম্পার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।