Logo
HEL [tta_listen_btn]

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের  সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাম জোটের

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের  সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি বাম জোটের

নিজস্ব সংবাদদাতা:
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও আধুনিকায়ন করে পাটকল চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে নারায়ণগঞ্জ বাম গণতান্ত্রিক জোট। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের কাছে এই স্মারকলিপি তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ বাম জোটের নেতৃবৃন্দরা। স্মারকলিপির দেওয়ার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও আধুনিকায়ন করে পাটকল চালুর দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বাঁধা প্রদান করে পুলিশ। মুফতি জিহাদীর মুক্তিকে কেন্দ্র করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশ এই মানববন্ধনে বাঁধা প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাহী ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, বাসদ নেতা সেলিম মাহমুদ, সিপিবি নেতা বিমল কান্তি দাস। পুলিশি বাধার মুখে শহিদ মিনারে এ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাফিজুল ইসলাম বলেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ দেশে বন্ধ হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানা চালুর দাবিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি বাধা নিন্দনীয় ও অগণতান্ত্রিক। নারায়ণগঞ্জে ধর্মীয় সংগঠনের নামে যে মৌলবাদী উন্মাদনা তৈরি করা হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ এবং এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। তরিকুল সুজন বলেন, এই করোনাকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিক এবং আরও ২৫ হাজার বদলি শ্রমিককে কর্মহীন করার নিষ্ঠুর খেলা চলছে। সরকার বলছে, মিলগুলো খোলা থাকলে প্রতিবছর ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়। অথচ এই সরকারের আমলেই ৪৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ মওকুফ করা হয়েছে। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রেখে হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ভুলনীতির কারণে যে লোকসান হচ্ছে, তার দায় নিষ্ঠুরভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর। এই খেলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আজ পাটকল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার এবং পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালুর দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশী বাঁধার নিন্দা জানাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com