নিজস্ব সংবাদদাতা:
জাল ওকালতনামা, জামিননামা ও স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহম্মেদ রবিনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল সিদ্দিকী। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জাল ওকালতনামা, জামিননামা ও স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহম্মেদ রবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: সাইফুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলার আরেক আসামি ছাত্রলীগের একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান শুভ্র পলাতক রয়েছেন। মামলার এজাহারে মো: সাইফুজ্জামান বলেছেন, জেলা আদালত সংলগ্ন উকিল রোডের প্রমিস ফটোষ্ট্যান্ট নামে প্রতিষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতি নির্ধারিত ওকালতনামা, জামিননামা ও কোর্ট ফি জাল করে বিক্রির অভিযোগ পাই। পরে যাচাই করে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০টি জাল ওকালতনামা, ৫০টি জাল জামিননামা ও ৬৪০টি জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। এ সময় রবিনকে পুলিশ আটক করলেও সোহানুর রহমান শুভ্র ওরফে মিরাজ পালিয়ে যায়। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল সিদ্দিকী বলেন, জাল ওকালতনামা, জামিননামা, স্ট্যাম্প কীভাবে তৈরি হতো কিংবা কোত্থেকে সাপ্লাই হতো এসব জানতেই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্য কাউকে পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে, জানান তিনি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।