যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁচবাকাবর্শী গ্রামে টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে গালি দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী সাইফুল ইসলাম মনা । তিনি যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন । আটক সাইফুল ইসলাম মনা কেশবপুর উপজেলার পাঁচ বাকাবর্শি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে। বিচারক মামুনুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।জবানবন্দিতে সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন দু’ বছর আগে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি চিংড়া বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। এবং বাড়িতে কেউ না থাকায় মেজ ভাইয়ের ঘরে বসে রাত ১১টার দিকে সাইফুল ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন টেলিভিশন দেখছিলেন। ওই সময় সাইফুল তামিল ছবি দেখতে চান, কিন্তু তখন তার স্ত্রী অন্য চ্যানেল দেখবেন বলে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় বৃষ্টি তার স্বামী সাইফুলকে গালি দেন। এরপর টেলিভিশনের রিমোট বৃষ্টির কাছে দিয়ে সাইফুল ঘরের বাইরে চলে যান। বারান্দায় ঘণ্টা খানিক বসে থেকে একটি ধারালো দা নিয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন স্ত্রী বৃষ্টি টেলিভিশন চালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে গেছেন। তখন তিনি দা নিয়ে বৃষ্টির বুকের ওপর বসে বাম হাতে মুখ চেপে ধরে ডান হাতে থাকা দা দিয়ে গলায় কেটে হত্যা করেন। এরপর জবাইকৃত ধারালো দা বাড়ির পাশে আজিজুর রহমানের পুকুরে ফেলে দেয়, এবং তার গায়ে রক্ত লেগে যাওয়াতে সে রক্ত ধুয়ে ঘরে ফিরে চিৎকার করে কান্নাকাটি করেন। তখন আশপাশের লোকজন এলে সাইফুল বলেন বৃষ্টির সাথে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল।এবং তারা ছয়-সাতজন এসে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় বৃষ্টির পিতা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।