নিজস্ব সংবাদদাতা:
শর্তসাপেক্ষে প্রায় সাত মাস পর সিনেমা হল খোলার অনুমতি পেয়েছে শুক্রবার। তবে অনুমতি মিললেও আশানুরূপ দর্শক না হওয়ার আশঙ্কায় ও নতুন ছবি মুক্তি না পাওয়ায়, অনেক হল খুলবেন না। নগরীর মেট্টো হল এরই মধ্যে বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর গুলশান ও বনানী সিনেমা হল খোলা রাখা হলেও কি ছবি চলবে সেই সিদ্ধান্ত আসেনি। ১৮ মার্চ থেকে সিনেমা হল বন্ধের সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছিল। সেদিন থেকে সারা দেশের সব সিনেমা হল গুলোর মতো নারায়ণগঞ্জের হল গুলোও বন্ধ আছে। গত ১৪ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হলের আসনসংখ্যা কমপক্ষে অর্ধেক খালি রাখার শর্তে হল চালু রাখতে পারবে। হলমালিক ও প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন জানান, আড়াইহাজারের সাথী সিনেমা হল কালই খুলছে। সাহসী হিরো আলম ছবিটি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে হলটি খোলা হচ্ছে হলটি। তবে নগরীর মেট্রো সিনেমা হলের ম্যানেজার বলেন কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি নতুন কোন সিনেমার মুক্তি না পাওয়ার কারনে দেশে সিনেমা হল খুললেও আমরা আমাদের হল বন্ধ রাখবো। পরিস্থিতি বুঝে তার পরে আমরা হল খুলবো। ফতুল্লার বনানী সিনেমা হলের ম্যানেজার সৈয়দ শহিদুজ্জামান বলেন করোনার কারণে গত সাত মাস ধরে আমাদের সবার আয় বন্ধ হয়ে যায়। সরকার থেকে কর্মচারীদের অনুদানের কথা থাকলেও তা এখনো পাওয়া যায়নি। নগরীর গুলশান সিনেমা হলের ম্যানেজার তপন দে বলেন সেই করোনার শুরু থেকেই আমাদের হল বন্ধ। হল বন্ধের পর থেকেই আমরা নানান রকম আর্থিক সমস্যায় সম্মুক্ষিন হচ্ছি এখন হল খোলার অনুমতি দেওয়ার পর একটু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছি। কি ছবি চালানো হবে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।