Logo
HEL [tta_listen_btn]

নারায়ণগঞ্জে যানজটে নাকাল নগরবাসী

নারায়ণগঞ্জে যানজটে নাকাল নগরবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা :
নগরীর প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে বঙ্গবন্ধু সড়ক। এই সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকে। অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র বাস কাউন্টার ও সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকার কারণে প্রতিদিনই এই যানজটে নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রোববার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই সড়কে ছিল তীব্র যানজট। এর প্রভাব পড়েছে পাশ্ববর্তী সড়কগুলোতেও। যানজটের কারণ হিসেবে শহরের ভেতর রেলক্রসিং, বাস স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড, অবৈধ স্ট্যান্ড, পার্কিংসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরছেন নগরবাসী। সরেজমিনে তার প্রমাণ মেলে। দুপুরে বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নগরীর এক নম্বর রেল গেইট থেকে ছেড়ে আসা উৎসব, বন্ধন, বন্ধু ও বিআরটিসি পরিবহনের বাসগুলো যখন বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই নম্বর রেলগইটে তিন রাস্তার সংযোগস্থল হয়ে ঘুরে চাষাঢ়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তখন নিতাইগঞ্জ ও ডিআইটি থেকে আসা রিকশা, সিএনজি, ট্রাকগুলো ট্রাফিক সিগন্যালের কারণে থেমে যায়। এতে করে ধীরে ধীরে যানজট ২ নম্বর রেলগেইট ছাড়িয়ে ডিআইটি পর্যন্ত চলে যায়। অন্যদিকে ২ নম্বর রেলগেইটে সড়কের পাশেই বাস কাউন্টার ও সড়কের দুই পাশেই সারি সারি অবৈধ পার্কিংয়ের দরুণ গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা উৎসব, বন্ধন, বিআরটিসি পরিবহনের বাসগুলো ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। এতে করে বাসের পিছনের দিকে থাকা রিকশাগুলোর কারণে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গ্রীণলেজ ব্যাংকের মোড় এলাকা। এই মোড় শায়েস্তা খাঁ সড়কের সাথে বঙ্গবন্ধু সড়কের সংযোগ দেয়। কালিরবাজার মাজারের সামনে থেকে ছেড়ে আসা আনন্দ পরিবহনেরে বাস ও সারি সারি রিকশা যখন ব্যাংকের মোড় এলাকা পার করে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রবেশ করে তখন যানজট বিরাট আকার ধারণ করে। ধীরে ধীরে এই যানজট বাড়তে বাড়তে আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার থেকে শুরু করে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া পর্যন্ত এসে পড়ে। চাষাঢ়ার নূর মসিজদের সামনে থেকে শুরু করে মার্ক টওয়ারের পর্যন্ত সড়কের পাশেই প্রাইভেট কার ও মোটর সাইকেল পার্ক করে রাখায় এই যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই যানজট তার পূর্ণ আকার ধারণ করে চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভের সামনে এসে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক ও পঞ্চবটি থেকে চাষাঢ়ার আসা চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগ স্থল এই বিজয় স্তম্ভ বা গোল চত্ত¡রটি। চারটি সড়ক থেকেই একই সময়ে পরিবহন প্রতিনিয়ত যাতায়াতের ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। আর দুপুরের এই প্রচন্ড গরম ও যানজটের ফলে নাভিশ্বাস উঠে যায় নগরবাসীর। গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় নগরীর দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বিআরটিসি বাসের কাউন্টার থেকে টিকেট কাটছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আমিনুল হক। তিনি জানালেন, সকাল ১১টার পরে যতক্ষন সময় লাগে এই দুই নম্বর রেলগেইট থেকে রাইফেল ক্লাব পর্যন্ত যেতে, ততক্ষণে অনায়াসে লিংক রোড থেকে গুলিস্তান চলে যাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিদিনের এই যানজট দেখতে দেখতে ও সহ্য করার কারণে এখন আর এসব যানজট তেমন কিছু মনে হয় না। এদিকে সাধারণ যাত্রীরা গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজেও প্রচন্ড যানজটে রিকশা ব্যবহার করতে গেলেও কয়েকবার ভাবেন। কেননা যতক্ষণ তিনি রিকশায় করে যাবেন তার থেকে বেশি সময় তাকে এই যানজটের মধ্যেই বসে থাকা লাগবে প্রচন্ড গরমের মাঝে। তাই অধিকাংশ যাত্রীই স্বল্প দূরত্বের যাত্রাটি পায়ে হেঁটেই যাওয়াকে শ্রেয় মনে করেন তিনি। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রীণলেজ ব্যাংকের মোড় এলাকায় রিকশা থেকে নেমে দ্রæততার সাথে হাঁটা ধরলেন এক যাত্রী। কথা বলে বলে জানা যায় তার রফিক আহমেদ। পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজে ডাচ বাংলা ব্যাংকে (দুই নম্বর রেলগেইট সংলগ্ন) একটু যেতে হবে। কিন্তু প্রায় ২০ মিনিটে চাষাঢ়া থেকে ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত আসতে পেরেছি। বাকি রাস্তা যেতে আরো ২০ মিনিট লাগবে। এর মধ্যে যে গরম পড়েছে এই গরমে রিকশায় বসে থাকলেও গরম লাগে। তাই নেমে পড়লাম। এই বলে হাঁটা ধরলেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com