বন্দর সংবাদদাতা :
নারায়াণগঞ্জের বন্দরে ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়–য়া ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলার ২নং মাধবপাশা এলাকায় মাধবপাশা এলাকা এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষনের ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উক্ত এলাকার প্রভাবশালী জৈনক আলাউদ্দিন প্রধান ও মোশারফ হোসেন ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ব্যার্থ চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ উপ-পরিধর্শক তাওহিদল্ল্যাহসহ তার সঙ্গীয় র্ফোস এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষিতা মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা আবু তালেব মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতে লম্পট কিশোর ইমনকে আটক করে। আটকৃত ধর্ষক ইমন একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে। মামলার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপির মাধবপাশা গ্রামের মো: রিপন মিয়ার ছেলে ইমন (১২) শুক্রবার সকালে একই বাড়ির মৃত রহমতউল্লাহ’র ১০ বছর বয়সের ছেলে অমিত হাসানের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী বাড়ির শিশু কন্যাকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর কথা ডেকে আনে। পরে ঝালমুড়ি খাইয়ে ইমন ওই শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে । এসময় শিশু কন্যার চিৎকারে তার মা ছুটে এসে দেখে মেয়েকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে ওই শিশু কন্যা গাইনী ভিাগের ৩৩০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি। পুলিশ ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় ১২ বছরের বয়সের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র গ্রেপ্তার হওয়ায় বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে শিশু কন্যার পিতা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অবিশ্বাস্য ধর্ষণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অপর শিশু অমিত হাসানকে স্বাক্ষী হিসাবে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।