Logo
HEL [tta_listen_btn]

নারায়ণগঞ্জে স্কপের প্রতিনিধিসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসহ ৯ দফার ভিত্তিতে  ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান

নারায়ণগঞ্জে স্কপের প্রতিনিধিসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসহ ৯ দফার ভিত্তিতে  ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় খানপুরস্থ বরফকল ঘাট সংলগ্ন মিলনায়তনে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন বাবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আলমগীর কবীর বকুল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সমগ্র বিশ^ এখন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত। করোনা একটি বৈশি^ক মহামারি যা শুধু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা নয়, করোনা সারাবিশে^র বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে আরও বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। কিন্তু করোনার আঘাত সবচেয়ে বেশি এসেছে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে। বেকারত্ব বেড়েছে, কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে, পুঁজি ও প্রযুক্তিনির্ভর কাজের নতুন নতুন ধরন সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শ্রমঘন কর্মক্ষেত্রগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। করোনার আঘাতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রবল ঝাঁকুনি খেয়েছে। দেশের ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তি কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে শ্রম দিয়ে এবং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে অর্থনীতির যে খানিকটা গতিশীলতা সৃষ্টি করেছিল তা অনেকটা স্থবির হয়ে গিয়েছে। করোনা মহামারি বাংলাদেশের শ্রমজীবীদের এক অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অনেকে কাজ হারিয়েছে, বকেয়া মজুরি পায়নি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছে এবং করোনা আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা করানোও সম্ভব হয়নি। ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে অনেক। অথচ মহামারির আগে এবং মহামারির সময় যেমন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তেমনি মহামারির পরে নতুন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও উৎপাদন ও বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন এই শ্রমজীবীরাই। এক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল শ্রমিকের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা খুবই প্রয়োজন। করোনাকালে, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রমজীবীদের কথা বিবেচনা করে শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আশু ও দীর্ঘমেয়াদী ৯ দফা দাবি উত্থাপন করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com