বন্দর সংবাদদাতা :
বকেয়া ভাড়া দিতে না পাড়ায় পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাড়িওয়ালাসহ গ্রেফতার ৩ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে আদালত। শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহামেদ হুমায়ূণ কবীর এর আদালত বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা কুলসুমকে ১ দিন, পাশের ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিনকে ৩ দিন ও তার স্ত্রী শিরিনকে ২ দিনের রিমাÐের আদেশদেন। রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ এএসআই তাহামিনা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠালে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের এই রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে, গত শুক্রবার ২৩ অক্টোবর বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়িস্থ প্রধান বাড়ি এলাকার উম্মে কুলসুমের বাড়িতে ভাড়া দিতে না পাড়ায় খুন হন ভাড়াটিয়া ফয়েজ। মামলা সূত্রে জানা যায়, উম্মে কুলসুমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে মো. ফয়েজ তার স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বসবাস করছিল। করোনা মহামারীতে কোথাও তেমন কাজ করতে না পারায় বাড়ি ভাড়া ঠিকমত মিটাতে পারেনি তিনি। এতে করে কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া পড়ে। এই বকেয়া বাড়ি ভাড়া দ্রæত পরিশোধ করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ভাড়াটিয়া মোঃ ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ও অপর ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিনসহ তার স্ত্রী শিরিনা মিলে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে না পারলে এখনই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে বলে মো. ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনাকে গালমন্দ করে। উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ও তার সহযোগী ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন, তার স্ত্রী শিরিনা একপর্যায়ে ফয়েজকে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। বেধড়ক পিটুনীর এক পর্যায়ে ফয়েজ অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় ফয়েজের স্ত্রী রোজিনা বেগম চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ফয়েজকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।