মা ইলিশ রক্ষার্থে জেলেদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১৩, আটক-৭ , ফাকা গুলি নিক্ষেপ ৪৭ রাউন্ড
কামরুজ্জামান, চাঁদপুর সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট মওসুমে মা ইলিশ রক্ষা, এবং অবাধ প্রজননের উদ্দেশ্যে আইন করে ইলিশ শিকারে নিয়ম বেধে দেয়। এখন চলছে ডিম ছাড়ার সময়। এ সময় বেকার জেলেদের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রনোদনাসহ বিনামুল্যে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা রাখলও কিছু অসাধূ জেলে মানছে না নিয়ম কানুন। কখনও কখনও পুলিশ বা কোষ্টগার্ডের সাথে হামলায় জড়িয়ে পড়ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ছিরায়চর ও শিলায়েরচর নামক স্থানে নৌপুলিশ ও জেলেদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৩জন আহত হয়েছে। মারমুখি জেলেদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় প্রায় ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭জন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়। রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশের কর্মকর্তা ও শতাধিক সদস্যসহ একটি দল শরীয়তপুর থেকে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে ইলিশ শিকারে বাঁধাদিলে এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নৌ-এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আহত জেলেরা হলেন, পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফরিদা ফারভীন, পুলিশ পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম, নায়ক ইকবাল হোসেন, ইলিয়াছ হোসেন, শাহ্ আলম, কনস্টবল আল মামুন, ফেরদৌস শেখ, আল-আমিন, কাউছার হোসেন, মোনায়েম আহম্মেদ ও প্রসনজিৎ আটক জেলেরা হলেন- ওমর ফারুক, কবির হোসেন, রুবেল, খলিল, শাহজাহান, মাহফুজ ও নজির হোসেন। নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপি (মিডিয়া) ফরিদা পারভীন বলেন, তারা গতকাল মা ইলিশ রক্ষায় তারা ঢাকা থেকে অভিযানে নামে। ওই সময় আকাশ পথে ইয়ারফোর্সের একটি হেলিকপ্টার ছিলো। রাতে শরীয়তপুর এলাকায় অভিযান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে আসলে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার জেলেকে শত শত নৌকা অবৈধবাবে মা ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়। এ সময় নৌ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজিন স্পীডবোট দিয়ে জেলেদের কয়েকটি নৌকা ও জাল আটক করে। এরপর ওই স্থানে থাকা হাজার হাজার জেলে অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্ম রক্ষায় তাৎক্ষনিক ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে জেলেদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদেরকে দ্রত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসা হয় তিনি আরো বলেন, আমাদের বড় জাহাজে নৌপুলিশের কয়েকজন এসপি ছিলেন। তারা ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছিলেন। আমি নিজেও জেলেদের হামলায় আহত হয়েছি। অভিযান সময় বেশ কয়েকটি নৌকা, জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। কিন্তু সেগুলো ওই অবস্থায় পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।