যশোরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন : আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নিলয় ধর, যশোর সংবাদদাতা :
যশোর মণিরামপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় ডিবি পুলিশের হাতে আটক জাহিদ হাসান মানিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক জাহিদ হাসান মানিক(২৪) যশোর সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের চাঁদ মিয়ার পুত্র। যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে আটক মানিক জোড়া খুনের ঘটনায় নিজেকে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তিতে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার হয়েছে জোড়া খুনের ঘটনায় সে ছাড়া আর কেউ জড়িত ছিলনা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাহিদ হাসান মানিক আদালতকে বলেন, নিহত বাদলের সাথে তার পূর্ব পরিচয় ছিল। বাদল এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে ওই নারীর দিকে হাত বাড়ায় নিহত বাদলের সহযোগি আহাদ আলী। এরই জের ধরে আহাদকে শায়েস্তা করতে বাদল জাহিদ হাসান মানিককে ম্যানেজ করেন। সে মোতাবেক গত(১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে বসুন্দিয়ার জয়ন্তা বাজারে কেরামবোর্ড খেলা শেষে বেড়ানোর কথা বলে বাদলের মোটরসাইকেলে আহাদ, মানিক ও বাদল মণিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে আসে। মানিক ছিল চালকের স্থানে, আর মোটরসাইকেলের মাঝখানে আহাদ এবং পিছনে ছিল বাদল। মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় পিছন থেকে বাদল আহাদের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে।এক পর্যায় ধস্তাধস্তি শুরু হলে মোটরসাইকেল পড়ে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় আহাদ বাদলের কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে বাদলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এরই মধ্যে বাদলের ভাড়াকরা জাহিদ হাসান মানিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরে মানিক জানতে পারে বাদল ও আহাদ দুই জনই মারা গেছে।উল্লেখ্য,মণিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার জয়ন্তা গ্রামের স্যাটেলাইট ক্যাবল লাইনের কর্মী বাদল ও আহাদ খুনের ঘটনায় নিহত বাদলের মা আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন ১৬ অক্টোবর মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় যশোর ডিবি পুলিশে।