Logo
HEL [tta_listen_btn]

মামুন জানালো সাত্তারের স্ত্রীর  কারণেই মিথ্যা মামলা

মামুন জানালো সাত্তারের স্ত্রীর  কারণেই মিথ্যা মামলা

ফতুল্লা সংবাদদাতা :
আসামি সাত্তার মোল্লার স্ত্রীর মিথ্যা কথার ভিত্তির কারণেই এই মামলাটা হয়েছে। ৬ বছর পর কথিত মৃত মামুন আদালতে ফিরে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১০ মে চাঁদপুরের মতলব নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন মামুন। তখন কোন ডায়রী কিংবা অভিযোগ করা হয়নি। ছেলেকে না পেয়ে ঘটনার ২ বছর পর ২০১৬ সালের ৯ মে মামুনকে অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুমের অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় মামলা করে বাবা আবুল কালাম। আসামী করা হয় মামুনের কথিত প্রেমিকা তসলিমা, তার বাবা রকমত আলী, ভাই রফিক, সোহেল, খালাতো ভাই সাগর ও সাত্তার মোল্লাকে। মামলার পরে সকল আসামীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনে মাকসুদা বেগম নামের এক নারী- চাক্ষুস সাক্ষী হিসেবে দেয়া অপহরণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে গুমের বর্ণনা ১৬১ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। ভিকটিমের কথিত প্রেমিকা আসামী তসলিমা ও তার ভাই রফিক দেড় বছর কারাবাস করেছেন। আর আসামী রকমত আলী, সাগর ও সাত্তার ছিলেন দেড় থেকে তিন মাস। সম্প্রতি জানা গেছে ৬ বছর আগে মৃত সেই মামুন জীবিত আছে। পরে বাদি পক্ষের আইনজীবীরা সেই মামুনকে ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করেছেন। হঠাৎ মৃত মামুনের জীবিত ফেরায় আদালত বিবেচনা স্বাপেক্ষে দীর্ঘদিন যাবত মামলার তদন্তকারী ৩ কর্মকর্তাকে আদালতে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর, রোববার আদালত আগামী ৫ নভেম্বর স্বশরীরে ওই ৩ কর্মকর্তাকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দিয়েছেন। এদিকে আদালতপাড়ায় উপস্থিত হয়ে ৬ বছর পর জীবিত ফেরত মামুন বলেন, আমি রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ২ বছর পর আসামিদের আত্মীয় সাত্তার মোল্লার স্ত্রী আমাদের বাসায় গিয়ে আমার মাকে বলে, আমাকে মারধর করে কেঁটে নদীতে ফেলে দিয়েছে। সাত্তার মোল্লার স্ত্রী’র কথার উপর ভিত্তিত করে আমার বাবা মামলা দিয়েছে। এই মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, ২২ সেপ্টেম্বর বাসায় আসার পর জানতে পেরেছি। এটা কোন মিথ্যা মামলা না। দুই পক্ষের মধ্যে ভূল বুজা-বুজি হয়েছে। আসামি সাত্তার মোল্লার স্ত্রীর মিথ্যা কথার ভিত্তির কারণেই এই মামলাটা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com