বন্দর সংবাদদাতা:
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্দরে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে দুই দফা ধর্ষনের অভিযোগে লম্পট প্রেমিক মেহেদী হাসান (১৯) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও পালিয়ে গেছে ধর্ষকের সহযোগী জাবেদ মোল্লা (৩০)। শনিবার (৭ নভেম্বর)সকাল সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ীস্থ আসমা বেগমের ভাড়াটিয়া ঘরে অভিযান চালিয়ে ওই লম্পটকে গ্রেফতার করা হয়। এর পূর্বে গত ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ীস্থ আসমা বেগমের নির্মানাধীন ৫তলা ভবনের ৩য় তলায় ও শুক্রবার ৬ নভেম্বর রাত ২টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ পঁচার মাজারের পূর্বপাশের একটি বাগানে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ ৭ নভেম্বর শনিবার সকালে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা আব্দুর রশীদ মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৬(১১)২০। গ্রেফতারকৃত লম্পট প্রেমিক মেহেদী হাসান ঠাকুরগাও জেলার পিরগঞ্জ থানার বসন্তপুর এলাকার মোঃ আলী মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার জনৈক আসমা বেগমের বাড়ী ভাড়াটিয়া ও পলাতক ধষৃকের সহযোগী জাবেদ মোল্লা নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার নওয়াব হোসেন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত লম্পট মেহেদী হাসানকে উক্ত মামলায় শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।মামলার বাদী গণমাধ্যমকে জানায়, গত ২৫/৩০ দিন পূর্বে বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এরাকার আসমা বেগমের বাড়ী ভাড়াটিয়া মোঃ আলী মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী একই এলাকার নওয়াব হোসেন মিযার ছেলে জাবেদ মোল্লার সাথে আমার কিশোরী মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার সুবাদে মোহাম্মদ আলী মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে মেহেদী হাসান আমার মেয়ে বিয়ে করবে আশ^াস দিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় নির্মানাধীন ৫ তলা ভবনের ৩লায় আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে ২নং বিবাদী জাবেদ মোল্লা প্ররোচনায় লম্পট মেহেদী হাসান গত ৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে পঁচার মাজারের সামনে একটি বাগানে নিয়ে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় বারের মত ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে আমি বন্দর থানায় মামরা দায়ের করলে পুলিশ সকালে লম্পট মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সহযোগী জাবেদ মোল্লা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সকালে নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে সাথে আমরা পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রেখেছি। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোদাচ্ছের হোসেন সকালে ভিকটমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরনের করে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।