নিজস্ব সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নং ওয়ার্ডেও চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় মেয়রের বাড়ির খানিকটা সামনে এবং পিছনের দিকে ড্রেনের দুটি স্লাব ভেঙ্গে সড়কের উপর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে সামনের দিকের ড্রেনের বেশ কয়েকটি স্লাব নীচের দিকে কিছুটা ডেবে গেছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্লাব না থাকায় এবং ছোট ছোট গর্তের কারণে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এছাড়া রাতের বেলায় আলো স্বল্পতা থাকায় এগুলো অনেকটা মরণফাঁদে পরিণত হয়। জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে থেকে এ এলাকার ড্রেনের বেশ কয়েকটি স্লাব নীচের দিকে ডেবে যায়। ধীরে ধীরে এ স্লাবগুলো ভাঙ্গতে শুরু করে অবশেষে প্রায় ৩/৪ মাস আগে একটি এবং চলতি মাসে একটি স্লাব ভেঙ্গে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে মেয়রের বাড়ির দুই পাশে ২টি স্লাব ভেঙ্গে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের কারণে দিনের বেলায় এক পাশ দিয়ে যান চলাচলের কারণে কোনো দুর্ঘনটনা না ঘটলেও রাতের বেলা সেখানে ছোট বড় যানবাহনের চাকা ও পথচারীরা পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা। এছাড়া, খোদ মেয়রের বসবাসের এলাকা হওয়া সত্তে¡ও দীর্ঘদিন ধরে স্লাবগুলো ঠিক না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছে স্থানীয়রা। মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কেউই নতুন স্লাব নির্মাণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যান ও জনগনের চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে প্রবেশের মুখ তথা কৃষ্ণচুড়ার মোড় হতে কিছুটা সামনে ড্রেনের একটি স্লাব ভেঙ্গে বিশালাকার গর্ত হয়ে আছে। গর্তের কারণে রাস্তার এক পাশ দিয়ে চলাচল করছে রিক্সা, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, প্রাইভেটকার সহ অন্যান্য ছোট-খাটো যানবাহন। এ স্লাবটির পরেই আরো বেশ কয়েকটি স্লাব ভাঙ্গনের মুখে আছে। যেকোনো সময় এ স্লাবগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। অপরদিকে, মেয়রের বাড়ির কয়েকটি বাড়ি পর একটি ড্রেনের স্লাব ভেঙ্গে আছে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, এজন্য এ স্লাবটিতে একটি বাশ দিয়ে রেখেছে স্থানীয়রা। জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলেন, মাস খানেক আগে ড্রেনের এ স্লাবটি ভেঙ্গে যায়। শীঘ্রই যাতে ড্রেনের এ স্লাবগুলো পুন:নির্মাণ করে জনভোগান্তির লাঘব করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবী জানান তারা। এ বিষয়ে জানতে ১৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।