সোনারগাঁ সংবাদদাতা :
নারায়ণগঞ্জ-৩ ( সোনারগাঁ) আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম সম্বলিত ফলক ভেঙে ফেলার ঘটনায় আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা আসে। এ সময় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার কুশপুত্তলিকা দাহ করে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা।মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদা মালা, জিএম আরাফাত, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল, নাসিকের ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, সাবেক কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ। মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম। আপনি কেবল নামফলকে আঘাত করেননি, আওয়ামী লীগের লাখো কর্মীর অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ে এমপি হয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন পরীক্ষিত কর্মীকে অপমান করবেন, আওয়ামী তা মুখ বুঝে মেনে নেবে না। অবিলম্বে লিয়াকত হোসেন খোকাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা। নামফলক ভেঙে ফেলার ঘটনায় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাসহ দোষী সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও ওঠে মানববন্ধন থেকে।গত ১৭ নভেম্বর জেলা পরিষদের অর্থায়নে সোনারগাঁ জিআর ইনিস্টিটিউশনের মেইন গেইট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশ এবং উপস্থিতিতে এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই নামফলকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম ছিল। স¤প্রতি নামফলকটি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। নামফলক ভেঙে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ শহর ও সোনারগাঁয়ে একাধিক বিক্ষোভ ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ বিষয়ে সরাসরি সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা কিছু না বললেও তার পক্ষে জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর শাখা গত শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছে। জাতীয় পার্টির দাবি, নামফলক ভাঙার ঘটনায় সাংসদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।