মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া সংবাদদাতা :
নড়াইলের নড়াগাতী থানার যোগানিয়া গ্রামে জামাই রবিউল গাজী (২৪) ও চাচা শ্বশুর আতাউর রহমানের (৩৫) ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে আহতদের আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় আধাঘন্টাব্যাপী যোগানিয়া গ্রামের একটি সড়কে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন আহত আতাউরের বৃদ্ধা মা মনিরা বেগম, বড় ভাই আব্দুর রউফ, ছেলে আশিক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গত ২১ নভেম্বর সকালে যোগানিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের জামাই রবিউল গাজীকে বিনা কারনে ওই গ্রামের ইকলাচের দোকানের সামনে ভ্যান থেকে নামিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তার শ্বশুর আব্দুর রউফ ও চাচা শ্বশুর আতাউর রহমান নড়াগাতী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ দলের রাসেল শেখ, মোস্তাইন শেখ, ইলিয়াস শেখ, নূর মিয়া শেখ, লাবলু শেখসহ কয়েকজন একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপ্টি করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আতাউর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মানববন্ধনে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় চায়ের দোকানী কামরুল শেখের স্ত্রী সুলতানা বলেন,‘ ২১ নভেম্বর রাত ১০টার পরে আতাউর আমার চায়ের দোকানে চা পান করতে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে রাসেল শেখসহ বেশ কয়েকজন তাকে ঘিরে সাপের মতো মারতে থাকে। আমি ঠেকাতে গিয়েও পারি নাই। পরে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এর মধ্যেই আতাউর রহমানের হাত, পা ভেঙ্গে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করে। আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, আসামীরা এলাকায় খুবই শক্তিশালী। তারা হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাইন মুঠোফোনে বলেন, ‘ আমার ছেলে সোহানকে মারার ঘটনায় রউফের জামাইকে ২/৩টা চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছিলো। তবে রাতে আতাউরকে কে মেরেছে জানিনা। নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোকসানা খাতুন বলেন, ‘ যোগানিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খানের ছেলে আতাউর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় গত ২২নভেম্বর রাতে মামলা হয়েছে (মামলা নং-১০)। মিকু শেখ নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারবো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।