আব্দুর রাজ্জাক পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা:
পলাশবাড়ীর হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দুর্নীতি, বরাদ্দের টাকা আত্মসাত ও মাদক সেবনের কারণে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সঠিক জবাব চেয়ে কৈফিয়ত তলব। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ২নং হোসেনপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন সরকারি বরাদ্দের টাকা কাজ না করেই আত্মসাতসহ বিদ্যালয়ে অনিয়মিত উপস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অমনোযোগীর কারণে অভিভাবক মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ ডিসেম্বর-২০২০ তারিখে হোসেনপুর ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার উক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে বিভিন্ন অনিয়মত দেখতে পান। বিশেষ করে বিদ্যালয়টি মলিন অপরিচ্ছন্নতা, বঙ্গবন্ধু কর্ণার তৈরি না করা, ক্যাশ রেজিষ্টার হালফিল নেই, প্রাক-প্রাথমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর উপকরণের ঘাতটি শিখন-শিখনের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ৪টি কর্ণারের একটিতেও নেই। সরকারি বরাদ্দকৃত ল্যাবটপ, প্রজেক্টর, স্কীন ও মডেম কোনদিনই ব্যবহার করা হয় নাই এবং তা কোথায় আছে সহকারি শিক্ষকরা তা বলতে পারেন না। আইন সম্মত আদেশের অবাধ্যকতা এবং কর্তব্যে চরম অবহেলা, অতিরিক্ত মিথ্যাচার এবং আচারণ শিষ্টাচার বর্হিভূত শারীরিক ও মানষিক অদক্ষতা ছাড়াও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের উক্ত বিদ্যালয়ের নামের বরাদ্দকৃত ¯িøপ কার্যক্রম, প্রাক-প্রাথমিক, দুর্যোগকালীন ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেইন্সসহ বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাত এবং মাদক সেবক করেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এই সকল অপরাধের কারণে ২৩ নভেম্বর-২০২০ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চেয়ে কৈফিয়ত তলব করেন। কিন্তু ৭ কর্মদিবস অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন কোন জবাব দাখিল করেননি বলে জানা যায়। এলাকার অভিভাবক মহল উক্ত দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।