Logo
HEL [tta_listen_btn]

ধর্মের নামে ভন্ডামি করবেন না: আব্দুল হাই

ধর্মের নামে ভন্ডামি করবেন না: আব্দুল হাই

নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, ‘বিভিন্ন ইসলামিক রাষ্ট্রসহ পাকিস্তানেও ইসলামিক দেশে ভাস্কর্য আছে কিন্তু তারা তো সেই ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা বলে নাই। ইরাক, তুরস্ক, মালয়েশিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ভাস্কর্য আছে কিন্তু আপানারা তো প্রতিবাদ করেন নাই। সেখানে কোন প্রতিবাদ হয় না তার মানে কি তারা মুসলমান না অমুসলমান, নিশ্চয়ই না। সুতরাং এইসব বাদ দেন৷ ধর্মের নামে ভন্ডামি করবেন না। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন । তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার পতাকা আমরা এনেছিলাম। পৃথিবীতে এটা বিরল নয় মাসে স্বাধীনতা লাভ করে। এটাও বিরল ৯ মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহিদ হয়েছিল। দুই লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছিল। অনেক চড়া দাম দিয়ে কেনা আমাদের স্বাধীনতা। যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওই জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের পেতাত্মারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি। আব্দুল হাই বলেন, ‘আমি বুঝতে পাললাম না এই বিজয়ের মাসে এসে এই ঘটনাটা কেন শুরু হলো। ১৫ই আগস্টের পরে আরও ৩টা আগস্ট গিয়েছে। ১৭ই আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। উগ্র মৌলবাদীর পক্ষ থেকে ১৭শে আগস্ট গ্রেনেড বোমা হামলা চালানো হয়েছে এবং ২১শে আগস্ট আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার জন্য ভয়ঙ্কর বোমা হামলা করা হয়েছিল । এ কথা আমাদের ভুলবার নয়। আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল ও ২০০ কর্মী আহত হয়েছে।আব্দুল হাই বলেন, ‘আমাদের নারায়ণগঞ্জে ১৬ই জুন ২০০১ সালে বোমা হামলায় শামীম ওসমানকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল।তখন ২১ জন নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। চন্দনশীলসহ অনেকে পঙ্গুত্বের জীবন পালন করছে।কিন্তু মামলা হয়েছে আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের নারায়ণগঞ্জের ভয়াল বোমা হামলার বিচার করা হোক। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বোমা হামালার মামলার বিচার এখনো হয়নি। এই বোমা হামলা ঘটনার বিচার করা হোক। ১৫ই আগস্টের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু অনেক খুনি এখনো বাইরে আছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধরে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বছর কয়েক আগে একজন জঙ্গি নেতা আমাদের মাঝে লুকিয়ে ছিল কিন্তু র্যা ব ও পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ ভাবে সেই ছেলেকে ধরেছিল। তা না হলে সেদিন ১০০ লোকের মিছিলে ঢুকে পড়লে অনেকে নিহত হতো।তিনি বলেন, ‘যার ডাকে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ৭১সালে এক হয়েছিল। সেই নেতার ভাস্কর্যে আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আপনারা আর বাইড়েন না যতটুকু বাড়ছেন যথেষ্ট হয়েছে। আমরা ঘরে বসে থাকবো না। দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, আবু জাফর চৌধুরী বীরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, উপ প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী সগীর আহমেদ ভূইয়া, জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল কাদির,সদর থানা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন প্রমুখ৷


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com