নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নারী সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় নারী সংহতি জেলা কার্যালয়ে বেগম রোকেয়ার অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে দবেগম রোকেয়ার চিন্তা ও বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাদ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নারী সংহতি জেলার আহŸায়ক নাজমা বেগমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পপি রাণী সরকারের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আরিফা সুলতানা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শুভ দেব, নারী সংহতি জেলা কমিটির নেতা আঁখি দাস, রেবেকা বেগম প্রমুখ। আরিফা সুলতানা বলেন, বেগম রোকেয়া এই উপমহাদেশের নারী জাগরণের অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ। যখন নারীরা চার দেয়ালের মাঝে বন্দী, যখন বাইরের আলো তাদের কাছে অচেনা, যখন নারী শিক্ষা অকল্পনীয়, তখন বেগম রোকেয়া শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে গ্রামে-প্রান্তরে ছুটে বেরিয়েছেন। স্কুল নির্মাণ করেছেন। সমাজের নানা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কলম হাতে তুলে নিয়েছেন। এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে সেসময় তাকে নানান প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়েছে। পরিবার, সমাজের চক্ষুশূলে পরিণত হতে হয়েছে। তবু তিনি তার লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র পেছপা হননি। তার এই সংগ্রাম নারী মুক্তির আন্দোলনে অন্যতম দিশাস্বরূপ। পপি রাণী সরকার বলেন, বর্তমানের পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারী পুরোপুরি অধিকারহীন। ঘরে-বাইরে-কর্মক্ষেত্রে প্রতিদিন নারীকে নিপীড়ন-লাঞ্চনা এমনকি হত্যারও স্বীকার হতে হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা এখন বাংলাদেশে রোজকার ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। অথচ রাষ্ট্র এই বিষয়ে নিঃশ্চুপ। সরকার এখানে ব্যর্থ। আজকে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হবে। নারীকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে এই সামাজিক অবক্ষয় রোধে লড়াই জারি রাখতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়া যে স্বপ্নের সমাজ নির্মাণের চিন্তা করতেন, তার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।