ফতুল্লা সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বান্ধবীর সহযোগিতার এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিহাদকে (২২) গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ফতুল্লা থানা পুলিশ অভিযুক্ত জিহাদকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। জিহাদ ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হাওলাদারের ভায়রা ও পাগলা মুসলিম পাড়ার মতিউর রহমানের পুত্র। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে জিহাদকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, তিন মাস পূর্বে একই এলাকার তার বান্ধবী তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। দেখানে যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই তাদের পূর্ব পরিচিত জিহাদ সেখানে উপস্থিত হয়। এক সময় তার বান্ধবী ঘর থেকে বের হয়ে যায় এবং বাইরে থেকে ঘরটি তালাবদ্ধ করে দেয়। তালাবদ্ধ অবস্থায় জিহাদ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং আপত্তিকর দৃশ্য ও ভিডিও ধারণ করে। ভুক্তভোগী তরুণী ডাক-চিৎকার করতে চাইলে জিহাদ তার মুখ চেপে ধরে এবং বিয়ের প্রতিশ্রæতি দেয়। অন্যথায় ধারনকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর গত তিন মাসে জিহাদ ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। যার এক পর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পরলে তাকে কৌশলে ঔষধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত করায়। তরুণী এর প্রতিবাদ করতে চাইলে জিহাদ তাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং বিয়ের আশ্বাস দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর জিহাদের বাবা ও মা তরুণীর বাড়িতে যায় এবং তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। একই সাথে জিহাদ তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়। পরে ভুক্তভোগী তরুণী ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং গতকাল রাতে অভিযুক্ত জিহাদকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগীর এক বান্ধবীর বাসায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে জানা গেছে। তবে পুরো ঘটনায় বান্ধবীর সম্পৃক্ততা কতটা তা তদন্তের পর জানা যাবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।